ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র কোরবানী ঈদ। কোরবানীকে সামনে রেখে ফটিকছড়ি উপজেলায় শেষমূর্হুেত জমে উঠেছে পশুর হাট।
উপজেলা বিভিন্ন হাটে চলছে শেষমুহুর্তের গরু বেচা-কেনা। ঈদ ঘনিয়ে আসাই কোরবানী দিতে ইচ্ছুক ক্রেতা সাধারণগণ তাদের পছন্দের পশুটি কিনতে ছুটছেন হাট-বাজার গুলোতে।স্থায়ী-অস্থায়ী সবকটি হাটে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বিদেশী গরুর চেয়ে দেশি গরুর চাহিদা বেশি। ফটিকছড়ি উপজেলা বিভিন্ন পশুর বাজার ঘুরে দেখা যায়,পশুহাটগুলোতে চলছে পুরোদমে গরু বেচা-কেনা। বড় গরুর চেয়ে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা একটু বেশি।সে কারণে ক্রেতাদেরকে দামটা বেশি গুনতে হচ্ছে।

পাইন্দং চামারদীঘি অস্থায়ী গরুর বাজারের বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, আমি আটটি গরু এনেছি।ইতোমধ্যে সবকটি গরু বিক্রি করে পেলেছি। তবে প্রথমদিকে ক্রেতা সাধারণের চাহিদা কম থাকায় গরুর কাঙ্খিত মূল্য পায়নি আশা করি এখন বাকিগুলোতে পাব।
বিবিরহাট বাজারের রহিম উদ্দিন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে আসছি নিজের পছন্দের কোরবানীর পশুটি কিনতে। ঘুরে দেখলাম বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু আছে। তবে তুলনামূলক দামটা বেশী হাঁকাচ্ছে বিক্রেতারা।তবুও ঘুরে দেখতেছি দেখি কি হয়।
অন্যদিকে গরুর পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন হাটে ছাগলও পুরোদমে বেচা-কেনা হচ্ছে।এদিকে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে অসুস্থ পশুকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে অস্থায়ী ভেটেরিনারি চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।পশু বিকিকিনিতে টাকা লেনদেনকালে জাল নোট সনাক্ত করণ বুথ স্থাপন করেছে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী ব্যাংক। কুরবানীর পশুর বাজারকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি নজরদারী ও নিরাপত্তা জোরদার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।