
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন কাটগড় এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০টি বসতঘর পুড়ে গেছে।রবিবার রাত আড়াইটা দিকে শরাফত আলী মিস্ত্রীর বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা অগ্নিকান্ডে ১০টি বসত ঘর পুড়ে গেলেও কোন ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। আগুনে অন্তত ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার। তবে ফায়ার সার্ভিস জানায় ৬টি বসতঘর পুড়ে ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ নিয়ে পিডিবি’র বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
আগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বন্দর ও ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ৫টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম। এক ঘন্টার বেশী সময় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক মো:কামাল উদ্দিন ভূইয়া পাঠক ডট নিউজকে জানায়, মধ্যরাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে কাঠগড়ের একটি বাড়িটিতে আগুন লাগে। এতে ৬টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। স্থানীয়দের দাবী আগুনে ১০ ঘর পুড়ে গেছে।
আগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির প্রতিবেশি মুরাদ ক্ষোভে প্রকাশ করে পাঠক ডট নিউজকে বলেন আগুন লাগার পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগটি যেন অতি দ্রুত বন্ধ করা যায় সেজন্য আমরা এলাকাবাসী প্রায় শতাধিক বার পিডিবি’র টেলিফোন নম্বরটিতে ফোন দেই। কিন্তু একটি বারও কেউ রিসিভ করে নি। ফলে আমরা আগুন নেভাতে প্রাথমিক ভাবে কেউ সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসতে পারি নি।
বিদ্যুৎ এর ভয়ে সহযোগীতায় এগুতে না পারার কারনটা হলো অগ্নিকান্ডের সময় বৃষ্টিপাত হচ্ছিলো বলে আগুন লাগা বাড়িটির চারপাশে পানি জমে গিয়েছিল আর বিদ্যুৎ সংযোগ চালু থাকায় কেউ পানিতে নামতে সাহস করেনি। এমনকি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু দেখে তড়িৎ কাজে নামতে পারেনি। তারাও তাদের কন্ট্রোল রুমে একাধিক বার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু থাকার বিষয়টি জানাতে থাকলে এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ফলে আগুন নেভাতে অনেকটা সময় লেগে যায়।