জামায়াত দলীয় সাবেক সাংসদ ও হুইপ জননেতা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন আওয়ামী তথাকথিত মানবতা বিরোধী বিচারের নামে শতাব্দী নিকৃষ্ট মিথ্যা কল্পকাহিনী বানিয়ে জঘণ্য অবিচারের মাধ্যমে দেশ দরদী নেতাদের হত্যা করে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ শহীদ মীর কাসেম আলী।
ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর কাসেম আলী’র প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মীর কাসেম আলীকে দেশ প্রেমিক উল্লেখ্য করে জামায়াতে ইসলামীর এ প্রবীণ নেতা আরো বলেন মীর কাসেম আলী একজন নির্লোভ, পরোপকারী, সমাজ সেবক ও রাষ্ট্রের উন্নয়নের ঝান্ডাবাহী হিসেবে গণমানুষের কাছে নিজের স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর মতো এমন দেশপ্রেমিক মানুষেকে হত্যা করা দেশের কতটা অপূরণীয় ক্ষতি তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
তিনি বলেন-অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে আতাঁত করে ১/১১ পরবর্তী তাদের মানুষ হত্যার নির্লজ্জ মনোভাব ক্ষমতারোহনের পর আরো স্পষ্ট হয়ে যায়। হত্যার নির্দেশদাতারা যুদ্ধাপরাধের ধোঁয়া তুলে দেশের জনপ্রিয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করে দেশকে বিরোধী দল শূণ্য করার হীণ প্রচেষ্টা এরই ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশ থেকে ইসলাম নির্মূলের আওয়ামী চক্রান্ত পূরণ না হওয়ায় প্রতিদিনই তারা ইসলাম প্রিয় মেধাবী নেতাদের খুন করে দেশকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বহীণ করে দিচ্ছে। নদী-নালা, খাল-বিলে মাছের বদলে পাওয়া যাচ্ছে মানুষের লাশ আর লাশ। নরখাদকের হিংস্র থাবায় সবুজে ভরা ফসলের মাঠ আজ তাজা রক্তে হয়েছে রঞ্জিত। মানবতার জন্যে মায়াকান্না দেখানো আওয়ামী লীগ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করে ফ্যাসিবাদী সরকার জাতির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ভাবুক ব্যক্তিদের সমাধিস্থ করেছে। তাই আওয়ামী তাঁবেদারী অপশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শিবিরের নগর উত্তর সেক্রেটারী এস কে সিকদার’র সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি এম এ জব্বার, শিবির নেতা আবু জোবায়ের, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা শহীদ মীর কাসেম আলীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি
