
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা আরও চার রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা এবং সাড়ে ১১টায় দুদফায় এ চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতাল আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।
তিনি বলেন, প্রথম দফায় গতকাল রাতে মংডুর আকিয়াবের নুরুল আমিনের ছেলে মো. শফি (২৫), নয়াপাড়ার আহমদ হোসেনের মেয়ে হাসিনা বেগম (১৮), নুরু মিয়ার ছেলে জাফর আলমকে (২৫) জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাদের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় মংডুর হাইসুকার আবদুল জব্বারের ছেলে ওসামাকে (১৬) আনা হলে তাকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।
সম্প্রতি নতুন করে রাখাইন রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সাময়িক বাহিনীর সহিংসতা শুরুর পর থেকে চমেকে গুলিবিদ্ধ ও আগুনে পোড়া অর্ধশত রোহিঙ্গাকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার ডিজিটাল হাসপাতাল, কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও ভর্তি আছেন আগুনে পোড়া ও গুলিবিদ্ধ অনেক রোহিঙ্গারা।
এদিকে খবর নিয়ে জানাগেছে, মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে বিস্ফোরণে আহত তিন শিশু-কিশোরীকে স্বজনরা গতকাল মঙ্গলবার সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফে আনা হয়েছে। বিস্ফোরণে আহত তিনজন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তাদের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে মিয়ানমারের সীমান্তে বিস্ফোরণ হয়। এর কিছুক্ষণ পরে তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে উম্মে সুলতানা (১৩) নামের ক্ষত-বিক্ষত রোহিঙ্গা কিশোরীকে কুতুপালং ইউএনএইচসিআর হাসপাতালে আনা হয়। এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের ধামনখালি থেকে আসা রহিমা খাতুন জানান, হঠাৎ বিস্ফোরণে তার দুই ছেলে ইব্রাহিম (১৬) ও মো. ইউনুস (১১) ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। একইদিন সীমান্তে বিস্ফোরণে মো. জাফর আলমের স্ত্রী সাবেকুন নাহার (৪৫) নামের রোহিঙ্গা নারীর পা উপড়ে যায়।
মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে বিস্ফোরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জরুল হাসান খান জানান, মিয়ানমার সীমান্তে বিস্ফোরণ হচ্ছে। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা নেই। তা ছাড়া এটা একান্ত মিয়ানমারের ব্যাপার। বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।