
ভোজ্য তেল ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন আমদানীর ঘটনায় দায়েরকৃত চোরাচালান মামলটি র্যাবের মাধ্যমে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে মামলাটির শুনানীকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর এর আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে নিয়োজিত সরকার পক্ষে পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত চোরাচালান ধারায় করা মামলাটি অধিকতর তদন্ত করতে র্যাবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত সুত্রে জানাগেছে-২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনারে কোকেন রয়েছে তথ্যের ভিক্তিতে কন্টেইনারটি সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। পরে পরীক্ষা করে এতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ওই বছর ২৮ জুন ভোজ্যতেল ঘোষণায় তরল কোকেন আমদানির অভিযোগে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদসহ কয়েকজনকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।
২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান মাদক আইনের মামলায় আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। পরে আদালত মামলাটি চোরাচালানের ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
এদিকে চলতি বছরের ১৪মে চোরাচালানের মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে মালিক নূর মোহাম্মদকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর গত ৯ অগাস্ট তাতে নারাজি জানিয়ে অধিকতর তদন্তের দাবি করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত “র্যাব-৭ এ কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন।