
বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহসম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। তারা নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অস্ত্রের জোরে দেশ চালাচ্ছে। এক ব্যক্তির একক ইচ্ছায় আজ দেশ পরিচালিত হচ্ছে তাই আজ দেশে আইনের শাসন,মানবতা, মানবাধিকার বলে কিছু নেই।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির পাইন্দং, সুয়াবিল ও নাজির হাটের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ এবং বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এসব বলেন।
দেশের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে কাদের গনি চৌধুরী বলেন,বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময়। সব মহলেই বিরাজ করছে একটা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। একটা অনিশ্চয়তার অন্ধকার যেন চারদিক থেকে গ্রাস করে ফেলেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের খুব নিকট-সম্পর্ক দেখি না। অতীতেও দেখিনি এবং এখনো দেখা যাচ্ছে না। আজ জনগনের মধ্যে ধারণাই তৈরি হয়েছে যে আওয়ামী লীগ এবং গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না। নিরাপত্তা সংকট তো দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি যদি এভাবে চলতে থাকে, জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের নীতি যদি গ্রহণ করা না হয় এবং ক্ষমতা যদি এই সরকারের দখলে থাকে তাহলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।

বিএনপি নেতা সারোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সরকার নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে কাদের গণি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র যে সমাজব্যবস্থায় প্রবর্তিত আছে, সেই সমাজের কোথাও দেখা যাবে না যে সরকার তার রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি সুনির্দিষ্ট দলের দিকে লেলিয়ে দিয়েছে। দেশের আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাদের দায়িত্ব তারা তা তো করছেই না বরং নিজেরাই পরিস্থিতিকে অশান্ত করছে। অপহরণ,খুন,গুম, ছোট শিশুদের হত্যা, নারী নির্যাতন কী করছে না তারা! মানুষ হত্যা করে পেট কেটে লাশ নদীতে ডুবিয়ে দিচ্ছে। সর্বত্র একটা নৈরাজ্য চলছে। এই নৈরাজ্যকে প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব ছিল। কিন্তু তারা সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছে না, রাষ্ট্রের কর্মকর্তা, যাদের কাজ জনসেবা দেওয়া, তারাও তা করছে না। এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে, তারা কিন্তু রাষ্ট্রের কর্মকর্তা। তাদের এখন প্রধান কাজ হলো বিএনপিকে দমন করা। বিএনপি দলের ব্যক্তিদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা, গুম করা, খুন করা শুধু যদি সংখ্যার দিকে দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে কী বিপুলসংখ্যক মামলা একেকজনের নামে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কি দেখা গেছে? পৃথিবীর অন্য কোনো গণতান্ত্রিক সমাজেও এই অবস্থা নেই। বিএনপির মধ্যে সরকার ও প্রশাসনের দমন-পীড়নের ভীতি বিরাজ করছে। বিএনপিতে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সংকট হচ্ছে ফ্যাসিবাদী শাসন। সংকট হচ্ছে গণতন্ত্রহীনতা। সংকট হচ্ছে দখলদার সরকার।
সভায় অন্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা এস এম শফিউল আলম চৌধুরী, সারোয়ার হোসেন, ডা. হোসেন, শফিউল আজম চৌধুরী, যুবদল নেতা আজম খান, নাসির উদ্দিন শিকদার, আমান উল্লাহ, মফিজুর রহমান সুমন, মঈনুল ইসলাম,আমিন তালুকদার, সুজন, ছাত্রদল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সহ সভাপতি মোরশেদ হাজারী, যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক ডিউক, ফটিকছড়ি ছাত্রদল নেতা মঈন উল্লাহ উজ্জল, ওসমান তাহের সম্রাট, কাজী রোমান, হাবিব শিকদার রুবেল, ফটিকছড়ি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক আল মামুন, পৌর ছাত্রদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার মুন্না,আকরাম চৌধুরী, সায়মুনুল করিম, মোঃ ইয়াছিন,এমডি রহমত, শেখ মাহফুজ উল্লাহ,আবুল কালাম, মোঃ ইলিয়াস, রাব্বি কায়েম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।