ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মেহেদীবাগে যুবলীগ নামধারীদের তান্ডব, ফাঁকাগুলি

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মহানগরী চকবাজার থানার মেহেদীবাগ শহীদ মীর্জা লেইন জমিদার ও ভাড়াটিয়ার বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের হাতে শাররীকভাবে নজেহাল হয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিকী। এসময় সন্ত্রাসীরা তার ছেলে তানভীর সহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে এবং প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলি ছুঁড়ে পুরো এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

এনিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হলেও পরে চকবাজার থানা ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর নুরুল হুদা জানান, বিদ্যুতের মিটার লাগানো নিয়ে এলাকার যুবকদের সাথে ভাড়াটিয়া হাজি ইউনুসের পরিবারের সাথে অপ্রীতিক ঘটনা ঘটেছে। পরে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। জমিদারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, আমাদের প্রতিবেশী বয়োবৃদ্ধ হাজি ইউনুসের ভাড়াটিয়া যুবলীগ নেতা বেলালের সাথে বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটার লাগনো নিয়ে বিরোধ বাঁধে। আবু বক্কর সিদ্দিকী অভিযোগ করেন তার (হাজি ইউনুস) ভাড়াটিয়া বেলাল মিটারের বাইরে সরাসরি বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহার করে আসছে। তিনি প্রিপেইড মিটার লাগাতে চাইলে এ নিয়ে বিরোধ বাঁধে।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেলালের নির্দেশে ৩০/৪০ জন যুবক নিজেদের যুবলীগ নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে হাজি ইউনুস (৭০) এ ঘরে হামলা চালিয়ে তাকে এবং তার স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করতে থাকলে আমরা প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করি। এসময় যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা আমার সাথে দুর্ব্যবহার, আমার ছেলে তানভীর সিদ্দিকী ও শ্যালককে মারধর করে। আমি তাদের আমার ভাই কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের পরিচয় দেয়ার পরও তারা ওমর ফারুককেও গালাগাল করতে থাকে এবং ১০/১২ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে।

এলাকাবাসীরা আরো জানান, মদ্যপ অবস্থায় হামলার নেতৃত্ব দেন বাগমনিরাম ওয়ার্ড যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা আরিফুল ইসলাম মাসুম, যুবলীগ নেতা ও সিডিএ শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন জয়, যুবলীগ নেতা বেলাল, আক্কাস সহ কতিপয় সন্ত্রাসী।

প্রতক্ষ্যদর্শী একজন জানান, সন্ত্রাসীরা কোতোয়ালী থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সেক্রেটারি হাসান মনসুরের বড় ভাইকেও নাজেহাল করেছে। তাদের হাত থেকে রেহায় পায়নি জাতীয় ক্রিকেট তারকা নাজিম উদ্দিন মান্না। সন্ত্রাসীরা এসময় জাতীয় খেলোয়াড়ের গায়ের উপর মোটর সাইকেল তুলে দিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, চকবাজার থানার ওসি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

ঘটনার সময় আশেপাশের এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে যেতে থাকলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি চালিয়ে ও জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, বিষয়টি অতটা সিরিয়াস না। এটা জমিদার আর ভাড়াটিয়ার মধ্যে বিরোধ। যুবলীগের কেউ এর সাথে জড়িত না। চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ভাইয়ের বড় ভাইকে কোন মারধর করা হয়নি। তার পরও আমি নিজেই ওনার বাসায় গিয়ে একটা মিমাংসা করে দিয়েছি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print