
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ভারত সরকারে পাঠানো ৫৩ টন ত্রাণ সামগ্রী চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় ত্রাণ নিয়ে আসা সি-১৭ বিমানটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার কাছ থেকে ত্রাণ গ্রহণ করেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত বাংলাদেশের দুঃসময়ের বন্ধু। যেকোন প্রাকৃতিক-মানবিক বিপর্যয়ে ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পাশে ছিল। তিনি বলেন, ৭১ সালে মানবিক বিপর্যয়ের সময়ও ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল। এখন মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে এসময়ও ভারত আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এভাবে পাশে থাকার জন্য তিনি ভারত সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে দুদেশের বন্ধুপ্রতিম সম্পর্কের আরও উন্নয়ন হবে ও বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ভারত সরকার মোট ৭ হাজার টন ত্রাণসামগ্রী পাঠাবে। এরই অংশ হিসেবে প্রথম দফায় আজ বৃহস্পতিবার এসেছে ৫৩ টন ত্রাণ সামগ্রী। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে-চাল, ডাল, চিনি, লবণ, বিস্কুট, গুঁড়ো দুধ, নুডলস, সাবান, মশারি ও তেল। প্রতি রোহিঙ্গা সদস্যকে ১৫ কেজির প্যাকেট দেয়া হবে। বাকি ত্রাণ ক্রমান্বয়ে জাহাজ ও বিমানে আনা হবে বলে জানান হাইকমিশনার।

ত্রাণ হস্তান্তরকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, জেলা প্রশাসক জিল্লর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান শিকদার, বিমানবন্দর ম্যানেজার উয়িং কমান্ডার রিয়াজুল কবির।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান জানান, এসব ত্রাণসামগ্রী শীঘ্রই এসব টেকনাফ, উখিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পাঠানো হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে রোহিঙ্গাদের জন্য ইন্দোনেশিয়ার আরও দুটি ত্রাণবাহী কার্গো বিমান আসবে। আগামীকাল শুক্রবার ইন্দোনেশিয়া থেকে আরও দুটি ও ভারত থেকে একটি ত্রাণবাহী উড়োজাহাজ আসবে।