ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

রোহিঙ্গাদের উপর মগদস্যুদের নৃশংস গণহত্যা পৃথিবীর সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ইসলামী ঐক্যজোট কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, আমাদের সীমান্তবর্তী, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের আরাকানে ঘটছে সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ গণহত্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। মিয়ানমারে মুসলমানদের উপর সরকারী বাহিনী ও মগদস্যুদের চলমান নৃশংস হামলা ও গণহত্যা পৃথিবীর সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বনেতৃবৃন্দকে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও মানবতার পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংস গণহত্যা পরিচালনার দায়ে এবং মানবতার বিরোধী অপরাধের কারণে থেইন সেইন সরকার ও অন সান সূচীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আজ শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে ইসলামী ঐক্যজোট চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত আরকানে রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে স্বদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবীতে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটি মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহবান জানান যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তথা সর্বস্তরের মুসলমানদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে মায়ানমার সরকারের গণহত্যা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফেরৎ পাঠাতে আন্তর্জাতিকভাবে মায়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করুন।

সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি মাওলান মাঈনুদ্দীন রূহীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন- আরকানের স্বাধীনতা ছাড়া রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা বন্ধ হবেনা। মিয়ানমার সরকার বার বার বাংলাদেশের আকাশ সীমালঙ্ঘন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে। এমন অবস্থায় আমাদের বসে থাকলে চলবে না, আমাদে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে মিয়ানমার সরকারকে উচিৎ জবাব দিতে হবে এবং আরকানের মুসলমানদের বাচাঁতে আরাকানকে স্বাধীন করতে হবে।

.

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আপনার অবস্থান প্রশংসার দাবীদার, আমাদের সেনাবাহিনীর যথেষ্ট সুনাম ও শক্তি রয়েছে, অতএব শক্তির মোকাবেলা শক্তি দিয়েই করতে হবে, মানবাধিকার রক্ষায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে জিহাদ ঘোষনা করুন, এদেশের ১৬ কোটি মানুষ আপনার পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

বিশেষ অতিথিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নেতা হাসানাত আমিনী বলেন, মিয়ানমারের সরকার ও বৌদ্ধদের কাছে মানবিকতা বলতে কিছুই নেই। তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্বতম হত্যাকান্ড চালিয়ে মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত করেছে। মানবতার শত্রু মিয়ানমারের জালেম সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বার্মার সকল পণ্য বর্জন করতে হবে। তাদের সাথে সকল কুটনৈতিক সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শান্তির জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, সেই শান্তি বিনষ্ট করায় অবিলম্বে নোবেল পুরস্কার স্থগিত করা উচিত। মিয়ানমারে এ ধরনের নির্বিচারে মানুষ হত্যা, জাতিগত নিপীড়ন নোবেল কমিটির লজ্জা, সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য লজ্জা। তিনি সুচি এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানান।

ইসলামী ঐক্যজোট চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি মাওলানা রুহী বলেন, বর্বরোচিত জঘন্যতম এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা করছেনা। আরাকানে আজ মানবতা স্তব্ধ, মানবধিকার ভুলন্ঠিত হলেও বিশ্বনেতারা কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান, মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষা করতে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। আরাকানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য নিরাপত্তা জোন তৈরী করে বাংলাদেশ থেকে তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করতে হবে।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সে দেশের সরকারের অব্যাহতভাবে পরিচালিত গণহত্যায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অবিলম্বে তা বন্ধ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে জরুরী ভিত্তিতে রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

ও যুগ্ম সম্পাদক আ ন ম আহমদ উল্লাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা জোবাইর আহমদ, আল্লামা ইসহাক নূর, সৌদী আরব মক্কা উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও রাবেতা আল ইসরামিয়ার দক্ষিণ এশিয়ার দায়ী শেখ আবু ওমর আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা মুফতি তৈয়ব হোসাইন, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াসেল, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা ফোরকান আহমেদ, মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা হাজি মোজাম্মেল হক, মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলী, মাওলানা ইমাম শরীফ, মাওলানা আলমগীর, মাওলানা ফয়সাল তাজ, মাওলানা জয়নাল আবেদীন কুতুবী, মাওলানা ওসমান শাহনগরী, মাওলানা আলমগীর মাসুদ, মাওলানা নুরুল হক সুজিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুফতি আবদুল আজিজ, নেজামে ইসলাম পার্টি মহানগর সহ সভাপতি মাওলানা ক্বারী ফজলুল করীম জিহাদী, ক্বারী মাওলানা মুবিরুল হক, মাওলানা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইউনুছ, মাওলানা জোনাঈদ জওহার, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা মুহাম্মদ হানিফ, মাওলানা আশরাফ বিন ইয়াকুব, মাওলানা রফিকুল ইসলাম বোয়ালী, মাওলানা মুহাম্মদ ইউছুফ, মাওলানা, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা নুর উদ্দীন, মাওলানা ওসমান কাসেমী, মাওলানা জমিরুদ্দীন, মাওলানা হেলাল উদ্দীন, মাওলানা হাবিবুর রহমান হাকীম, মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা সালামত উল্লাহ বাবুনগরী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা নাজমুস সাকিব, মাওলানা অলি উল্লাহ নোমান, মাওলানা আবুল কাসেম, মাওলানা ফোরকান উল্লাহ, মাওলানা কফিল উদ্দিন, মাওলানা ইয়াসিন মাওলানা নূর কুতুবী প্রমুখ।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print