
চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ দুই যুবককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৬ আক্টোবর) সকালে পৃথক ঘটনায় নগরীর সদরঘাট ও আকবর থানা এলাকায় দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- মহানগর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ও সিটি কলেজের ছাত্র বিশ্বাসের ছেলে সুদীপ্ত বিশ্বাস (২৬) এবং আকবর শাহ থানার কৈবল্যধাম এলাকার সুবল দাশের ছেলে জয় দাশ (২২)।
ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকার বাবুল বিশ্বাসের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ড দুটি নিশ্চিত করেছে।
সিএমপির সদরঘাট থানার ওসি মর্জিনা আক্তার জানান, সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে সুদীপ্ত বিশ্বাসকে কয়েকজন যুবক ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে তার নিহতের পরিবারের সদস্যরা। পরে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তবে কারা কি কারণে পিটিয়ে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু বলতে পারেনি। নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে।
সুদীপ্ত নগর আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজনের অনুসারী ছিল। তার ফেসবুকের বিভিন্ন স্ট্যাটাসে দলীয় বিরোধের বিষয়টি লক্ষা করা গেছে।
আমরা সুদীপ্তের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানতে নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজীম রণির সাথে যোযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ইমরান আহমেদ ইমু ব্যস্ততার কথা বলে ফোনকল কেটে দেন।
এদিকে নগরীর আকবর শাহ থানার কৈবল্যধাম (মালিপাড়া) মন্দিরের এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে জয় দাশ (২২) নামে এক যুবক। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।
তিনি জানান, গতকাল রাতে লক্ষ্যি পূজায় বাজি ফুটানোকে কেন্দ্র করে এলাকার সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে মারামারি গয়। এনিয়ে জয়দাশ জুনিয়রদের চড় থাপ্পর দিয়ে বিরোধ মিমাংসা করে দেন। কিন্তু জুনিয়র ছেলেরা এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয় জয়ের উপর। আজ সকালে তাকে পেয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, দুপুরে আকবর শাহ এলাকা থেকে ছুরিকাঘাতে আহত এক যুবককে হাসপাতলে আনা হলে চিবিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছুরিকাঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ মর্গে নেয়া হয়েছে।