
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি ইস্পাত কারখানায় লোহা গলানোর চুল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন নিহত ও ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকার জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, বেলা ১১টার দিকে ১১জন শ্রমিককে উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে মারা যান এক শ্রমিক। আহতদের মধ্যে শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন, সোলায়মান, মিজানুর রহমান ও মো. ইউসুফের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক শীলব্রত বলেন, জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১জনকে সকালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন প্রথামিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বাকীদের অবস্থা গুরুত্বর। তারা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকার পর বিকালে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহতরা হলেন- আবদুর রবের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০), আনছার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (২৭), বাদশা মিয়ার ছেলে সোলায়মান (২৮), মতিউর রহমানের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২৮), আবদুল হকের ছেলে শাহ আলম (৩২), তাজুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৭), আজিজুর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৬), আতাউল হকের ছেলে আলাউদ্দিন (২৮) মিস্টার দমিনি (২২)।
চমেক বার্ন ইউনিটের অধ্যাপক ডা. মৃণাল কান্তি দাশ জানান, ৩০ বছর বয়সী শাহ আলমের শরীরের ১০০ ভাগ পুড়ে গেছে। একই বয়সের আনোয়ার হোসেনের পুড়েছে ৬০ ভাগ। ২২ বছর বয়সী মি. দমিনি নামের আরেকজন কর্মীর পুড়েছে ৯০ ভাগ। সোলায়মানের পুড়েছে ৯০ ভাগ। তাদের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জিপিএইচ ইস্পাত কারখানার জনসংযোগ কর্মকর্তা অভিক ওসমান জানান, চুল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের মধ্যে দগ্ধ ছয়জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। হতাহতদের সব চিকিৎসা ব্যয় জিপিএইচ ইস্পাত বহন করছে বলে জানান তিনি।
*সীতাকুণ্ডে জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক দগ্ধ