
চট্টগ্রামে ২০ হাজার ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়েছে নগরীর নামকরা একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী। উদ্ধার করা এসব ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৬০লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন-কক্সবাজারের টেকনাফ থানার মহেশ খালীয়াপাড়ার শিল্পপতি নুরুল ইসলামের পুত্র এবং নগরীর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবি ৭ম সেমিস্টারের ছাত্র মোঃ আতিকুল আলম তারেক (২২) ও ফেনীর সোনাগাজী থানার জমাদার বাজার, দক্ষিণ দক্ষিণচর এলাকার মোঃ ইসমাইল পুত্র মোঃ রফিক (২৭)।

মঙ্গলবার রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন খ্রিষ্টান সেমিট্রে রোডস্থ বশর মাকের্টের মেসার্স জব্বর ষ্টোর সামনে থেকে আতিকুল আলম তারেক ১০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তিতে একই থানাধীন বিবিরহাট, ভান্ডারী গলির মকবুল জমিদারের ২য় তলার ভাড়াঘর থেকে আরো ১০ হাজার ইয়াবাসহমোঃ রফিককে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এএএম হুমায়ুন কবীর আজ বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামী মোঃ আতিকুল আলম তারেক টেকনাফের শিল্পপেতির ছেলে নগরীর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আড়ালে সে দীর্ঘদিন ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত। মূলত পারিবারিকভবে তারেক ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে।
গোয়েন্দা অনুসন্ধ্যানে জানাগেছে, তরিকুল ইসলাম তারেক সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবি ৭ম সেমিস্টারের ছাত্র। তার পিতা নুরুল ইসলামের টেকনাফে একটি পেট্রোল পাম্প, একটি অটোরাইস মিল, সারের ডিলার ও ১০/১২টি ভাড়া দোকান আছে। অর্থশালী পরিবার হলেও তার তারেকের বোনের সাথে টেকনাফ মৌলভী পাড়ার একজন মাদক ব্যবসায়ী ফজর আলীর সাথে বিয়ে দেন। ভগ্নিপতি ফজল আলী ডিবি, সিএমপি কর্তৃক ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। তার নামে একাধিক ইয়াবা মামলা আছে। ফজর আলীর ছোট ভাই মোহাম্মদ আলীও একজন কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার নামেও একাধিক ইয়াবা মামলা আছে।
আসামী তারেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদের সহিত ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলে। তারেক তাহার ছোট দুলাভাই ও তার আত্মীয় স্বজনের হাত ধরে ইয়াবা ব্যবসায় আসে। বিভিন্ন এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদের সহিত ভাল সম্পর্ক থাকায় খুব সহজেই ইয়াবা বিক্রি করতে পারে। তারেক টেকনাফ হতে তাহার দুলাভাই ফজর আলী এবং নিজেই বিভিন্ন মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট চট্টগ্রাম শহরে এনে কোমলমতি ছাত্রদের নিকট বিক্রি করে বলে স্বীকার করেছে। এবং এ সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
এদিকে ডিবির একটি সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর গতকাল মঙ্গলবার রাত দেড়টায় ক্রেতা সেজে গেয়েন্দা পুলিশ প্রথমে তারেক পরে তার সহযোগী রফিককে গ্রেফতার করে রাত আড়াইটায়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।