বিএনপি‘র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তেঁজগাও থানায় অবৈধ সরকারের সাজানো মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেছেন- তারেক রহমান বাংলাদেশের বর্তমান সমসাময়িক রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের নেতা হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর তার এই জনপ্রিয়তার কারণেই ভীত অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার। দেশ ও দেশের মানুষের গণতন্ত্র মুক্তির সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেই বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমান। মিথ্যা, বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে জিয়া পরিবার তথা তারেক রহমানকে মুছে ফেলা যাবে না।
বুধবার বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেছেন, তারেক রহমান জাতির সামনে সত্য তুলে ধরেছে, অবৈধ সরকার তারেক রহমানের সত্য কথাগুলি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে,তাদের সুনিয়ন্ত্রিত আদালতকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে। তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই তারেক রহমানের অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না। দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে এবং অবৈধ সরকারের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না। অচিরেই তিনি সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জনগণের মাঝে ফিরে আসবেন।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, যেখানে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে সরকারী আক্রমণের শিকার হয়ে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয় সেখানে বিরোধী দলের নেতারা সরকারের কী ধরণের নিষ্ঠুর আক্রোশের শিকার হবেন তা সহজেই অনুমেয়। প্রধান বিচারপতিকে হেনস্থার মাধ্যমে বর্তমানে নিম্ন আদালতকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে নির্বাহী বিভাগের আদেশে কিভাবে চলতে হবে। এমনকি সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটি ঐতিহাসিক সত্য উচ্চারণ করাতে তাঁকেও আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতারা প্রধান বিচারপতির পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করেছেন। কোন ষড়যন্ত্র গ্রেফতারী পরোয়ানা দিয়ে তারেক রহমানকে দেশে প্রত্যাবর্তন ঠেকানো যাবে না।
মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সভাপতির বক্তব্যে বলেছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা নতুন কিছু নয়, তাছাড়া দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অসংখ্য গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছিল, কিন্তু অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার অদ্যাবধি একটি পরোয়ানাও কার্যকর করতে পারে নাই। তারুণ্যের অংহকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি কার্যকর করতে পারবে না এবং সরকারের সেই ক্ষমতা নেই।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম.এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, জয়নাল আবেদীন জিয়া, সবুক্তগীন ছিদ্দিকী মক্কী, আশরাফ চৌধুরী, হারুন জামান, মাহবুবুল আলম কমিশনার, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এম. এ হান্নান, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, টিংকু দাশ, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ শিহাব উদ্দিন আলম, কামরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন, এস.এম জি. আকবর, জহির আহমদ, হাজী বেলাল হোসেন, ইব্রাহিম চৌধুরী, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, বিএনপি নেতা শিহাব উদ্দিন মুবিন, কমান্ডার সাহাব উদ্দিন, রাহেলা জামান, আব্বাস রশিদ, মাহমুদ আলম পান্না, এম. আই চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসেন, ডা. সারোয়ার আলম, নুরুল আকবর কাজল, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল নবী প্রিন্স, মোহাম্মদ আলী, মো. বখতেয়ার, আবদুল বাতেন, হাজী বাবুল হক, মো. সেকান্দর, সাইফুর রহমান বাবুল, কাউন্সিলর মো. আজম, মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, আবদুল্লাহ আল হারুন, সহ-সম্পাদকবৃন্দ-একে খান, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, আজাদ বাঙালি, আবু মুছা, আলমগীর নূর, নকীব উদ্দিন ভূইয়া, আবদুল মতিন, ফয়েজ আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, আবদুল হাই, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীন, জাকির হোসেন, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসেন, জেলি চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু প্রমুখ।
