
চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী ও কর্ণফুলী থানা এবং জেলার সাতকানিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি চোরাই মোটর সাইকেল একটি সিএনজি অটো রিক্সা উদ্ধার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
টানা ৪দিনের (২১ থেকে ২৫ অক্টোবর) অভিযানে উদ্ধার করা এসব গাড়ীর মধ্যে রয়েছে-২টি বাজাজ পালসার, ১টি সুজুকি এসএফ, ১টি টিভিএস এপাচি এছাড়াও ১টি সিএনজি অটোরিক্সা।
গ্রেফতারকৃদতরা হলেন- মোঃ জসিম (২৭), মোঃ দিদার (৩০), মোঃ বাদশা মিয়া (৩৩) ও মোঃ নয়ন (২৪)।
ডিবির অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আকরামুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নগরীর পাহাড়তলী থানার একটি মামলারসুত্র ধরে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হয় পেশাদার মোটরসাইকেল চোর মোঃ জসিম (২৭) কে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে পাহাড়তলী থানার একে খান মোড়স্থ ওয়াপদা অফিস থেকে চুরি যাওয়া হিরো প্যাশন প্রো মোটরসাইকেলটি এবং পাহাড়তলী গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকা হইতে খুলশী ইউএসটিসি থেকে চুরি যাওয়া একটি এপাচি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে মোটরসাইকেল চোর মোঃ জসিমকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায় সে এবং তার সহযোগী শীর্ষ মোটরসাইকেল চোর মোঃ আনোয়ার মহানগরী থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে সাতকানিয়া এলাকার দিদার, বাদশা ও আরো কয়েকজনের মাধ্যমে লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, কক্সবাজার, বান্দারবান জেলায় বিক্রি করে থাকে।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোটরসাইকেল ক্রয় বিক্রয়ের ডিলার মোঃ দিদার (৩০)কে আটক করা হয়। দিদারকে নিয়া অভিযান পরিচালনা করে সাতকানিয়া এলাকা থেকে ২টি চোরাই পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় এবং চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির সাথে জড়িত বাদশা (২৫)কে আটক করা হয়।
এ ছাড়াও মোটরসাইকেল চোর মোঃ জসিম এর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর সরাইপাড়া পদ্মাপুকুর পাড় হইতে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় একটি সুজুকি এসএফ মোটরসাইকেল। একই টীম পৃথক একটি অভিযানে কর্ণফুলী এলাকা হইতে একটি চোরাই সিএনজি সহ মোঃ নয়ন নামের একজনকে আটক করা হয়।