
সকালে গুলশান কার্যালয় থেকে সড়ক পথে রওনা হয়ে চট্টগ্রাম সিটি গেইটে খালেদা জিয়ার গাড়ী বহর যখন পৌছে ঘড়ির কাঁটা তখন রাত সাড়ে ৮টা ছুই ছুই করছিল। ঢাকা থেকে দীর্ঘ সাড়ে ১১ ঘণ্টা যাত্রা শেষে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সিটি গেইট থেকে বন্দর নগরীতে নেত্রীকে দেখতে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের ঢল নামে রাস্তায়। নগরী যেন জন সমুদ্রে পরিণত হয়।
এই ভীড়ের কারণে সিটি গেইট থেকে সার্কিট হাউজ পৌছতে গাড়ী বহরের সময় লেগেছে প্রায় আড়াই ঘন্টা। পথে হাজার হাজার নারী পুরুষের ভীড় এড়িয়ে সার্কিট হাউজে যখন গাড়ী বহন পৌছে তখন সার্কিট হাউজের আসে পাশে যেন জন সমুদ্রে পরিণত হয়। দেশ নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন মানুষ। এতে কিছুটা বিশৃংখলা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সার্কিট হাউজের গেইটে ভীড় সামলাতে না পেরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকে কঠোর হতে হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মী সরিয়ে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এসময় কিছু উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে সার্কিট হাউজে পৌ্ছেই বেগম জিয়া তার নিজ জন্য তৈরী করা দ্বিতীয় তলায় ভিভিআইপি কক্ষে অবস্থান নেয়।

সেখান রাত্রী যাপন শেষে রবিবার বেলা ১১টায় কক্সবাজার সার্কিট হাউজের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বলে জানা বিএনপি নেতারা।
এদিকে সকালে ঢাকা থেকে যাত্রা পথে তার গাড়িবহরে একাধিক স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন অক্ষত ও শারীরিকভাবে সুস্থ-স্বাভাবিক আছেন।
এর আগে, দীর্ঘ প্রায় পৌনে ৬ ঘণ্টা যাত্রার পর বিকেল ৫টা ১০মিনিটে ফেনী সার্কিট হাউজে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট যাত্রা বিরতি শেষে ৬টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ফেনী ত্যাগ করেন তিনি।

শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে বিকেল ৫টার দিকে ফেনী পৌঁছান তিনি। দুপুর ২টার দিকে ফেনী সার্কিট হাউজে থাকার কথা থাকলেও যাত্রা পথে নেতাকর্মীদের ভিড় ও যানজটের কারণে সার্কিট হাউজে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়।
এদিকে ফেনীর দুই স্থানে ও চট্টগ্রামের মীরেরসরাইতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের হামলার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গাড়ি বহরের হামলার ওই সব ঘটনায় ৫ সাংবাদিকসহ বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। হামলার শিকার আহত সাংবাদিকদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তাদের সুচিকিৎসার নির্দেশনাও দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।