চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষায় প্রক্সি দেয়ার আগেই ছাত্রলীগ নেতাসহ আরো ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী,২ জন মূল পরিকল্পনাকারী ও ১ মধ্যস্থতাকারী।
মূল পরিকল্পনা কারী দুই জন হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সম্পাদক ও আইইআরটি বিভাগের ১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের মো: শহিদুল্লাহ (আইডি:১৩১১৩০৯৯) অপর জন একই বিভাগের মো: রায়হানুল হক (আইডি:১৩১১৩০৯৯)।
তাদের মধ্যে শহিদুল্লাহ’র বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায় আর রায়হানের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে।
৪ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী হলেন, নোয়াখালীর মো: ফরহাদ ও মিযানুর রহমান,টাঙ্গাইলের সাঈদ আল কবির ও মানিকগঞ্জের মুশফিকুর সালেহিন।অপর মধ্যস্থতাকারী হলেন,চট্টগ্রাম কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র তুহিন।
আজ রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে সাংবাদিকের ব্রিফিং কালে এসব তথ্য জানান প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল পরিকল্পনাকারী দুইজনকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন তাদের বাসা থেকে আটক করে।এসময় তাদের কাছ থেকে পরিক্ষার্থীদের মার্কশীট, সই কারী ১০০ টাকার খালি স্ট্যাম্প উদ্ধার করে। পরে তাদের মোবাইলের কথোপকথন ও কল লিস্ট চেক করে ভর্তিচ্ছুদের আটক করে।
এ সময় মধ্যস্থতাকারী তুহিন শহরে থাকায় কৌশলে ভর্তিচ্ছুদের মাধ্যমে তাকে কল করে ক্যাম্পাসে ডেকে এনে আটক করা হয়।
পরে আটক সাত জনকে হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার দিনে আটক করা হয়েছিল জাবেদ ও শাহেদুল নামে ২ জনকে।