
মিয়ানমার বাহিনীর হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে সরকার কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি আজ সোমবার দুপুরে উখিয়ার পালংখালীতে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকার প্রথমে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে চায়নি। নির্যাতিত রোািহঙ্গাদের আশ্রয় দিতে আমি আগেই সরকারকে অনুরোধ করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদেরকে নিজ দেশে পাঠাতে সরকারের তৎপরতা যথেষ্ট নয়। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সরকার কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি অভিযোগ করেন, ‘এত বড় মানবিক বিপর্যয় জেনেও সরকার যথাযথভাবে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে।’
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত না নিলে বাংলাদেশের পক্ষে বেশিদিন তাদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে না।’
এর আগে সকাল ১১ টা ২৫ মিনিটে তিনি কক্সবাজার সার্কিট হাউজ থেকে উখিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হন। বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। এর পর বেগম জিয়া নিজেই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন অসহায় রোহিঙ্গাদের মাঝে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৪৪ টি ট্রাকে করে ১১০ টন ত্রাণ নিয়ে কক্সবাজার গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উখিয়া কলেজে নির্মিত সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে ১‘শ সাড়ে সাত টন ত্রাণ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন বিএনপির স্থায়ী কমিরি সদস্য মির্জা আব্বাস। বাকী আড়াই টন ত্রাণ উখিয়ার কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খালেদা জিয়া বিতরণ করবেন।
ত্রাণ বিতরণকালে তার সঙ্গে আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জেলা বিএনপি সভাপতি শাজাহান চৌধুরী, দলের মৎস বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল। এছাড়া খালেদা জিয়ার সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যরাও তার সঙ্গে আছেন।