
খাগড়াছড়ি জেলা শহরে আ’লীগের বিবদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ সদস্য, পথচারিসহ কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে শহরে যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, জাতীয় শ্রমিক লীগের খাগড়াছড়ি পৌর শাখার আহ্বায়ক বেলাল হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সমর্থিত নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। একই সময় খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমের সমর্থকরাও পাল্টা মিছিল বের করে। উভয় পক্ষের মিছিলটি শহরের মাষ্টার পাড়া এলাকায় পৌঁছালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের এএসআই মাসুদসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবী করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কজন আহত হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার আব্দুল আওয়াল জানান, শ্রমিক লীগ নেতা বেলাল হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে মেয়র রফিকুল আলমের গ্রুপ হামলা চালালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে মেয়র রফিকুল আলমের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোঠান চৌধুরী ৫ নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
অপর দিকে মেয়র রফিকুল আলম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক দিনে পুলিশের সহযোগিতায় এমপি গ্রুপের সন্ত্রাসীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক তার সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১০ জনকে আহত করেছে। আজকেও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তার নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে পথচারীসহ ৬ জনকে আহত করেছে।
গত পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের বিভক্তির সৃষ্টি হয়। সে থেকে প্রতিনিয়ত দুই পক্ষের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে শহরের গঞ্জপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় জাতীয় শ্রমিক লীগের খাগড়াছড়ি পৌর শাখার আহ্বায়ক বেলাল হোসেন আহত হয়।