
কক্সবাজার থেকে ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে ফেনী মহিপালে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে সন্ত্রাসীদের পেট্টোল বোমা হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা বলেছেন-গাড়ি বহরে হামলা করে বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণ থেকে দূরে রাখা যাবেনা। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মুক্তিকামি ১৬ কোটি মানুষের নেতা। দেশের জনগণ তার উপর আস্থা রাখে।
তিনি যেদিকে যান সেদিকে জনতার ঢল নামে, তার প্রমাণ ইতিমধ্যে দেশের মানুষ দেখতে পেয়েছে। বর্তমান অবৈধ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বুঝতে পেরে, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে।
আজ বুহস্পতিবার বিকালে নগরীর কাজির দেউরী নসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন- জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আওয়ামীলীগ একটি সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই তারা বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় দেখিয়ে জনগণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসাবে অবৈধ সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুপরিকল্পিত ভাবে বেগম জিয়ার গাড়ি বহরে একের পর এক হামলা চালানো হয়েছে। যাতে বেগম জিয়া ভয় পেয়ে জনগণের কাছে যেতে না পারে। তিনি বলেন, কোন ষড়যন্ত্র মামলা, হামলার ভয় দেখিয়ে তাকে ঘরে বন্দি করে রাখা যাবে না। বেগম জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার পরিণতি ভাল হবে না এই জন্য তাদেরকে একদিন চরম মূল্য দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনজোয়ার দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আতঙ্কে ভুগছেন। দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এতো নিরাপত্তা দেওয়ার পরও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আতঙ্কিত কেনো? তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই। বিরোধী দলকে প্রকাশ্যে মিছিল-মিটিং করতে দেয়া হয় না। দেশে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে একের পর এক হত্যা এবং গুম করা হচ্ছে। এভাবে জনগণের কণ্ঠকে বেশি দিন স্তব্ধ করা যাবে না।
মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি এম.এ. আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, মোহাম্মদ আলী, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, সৈয়দ আহমদ, কমিশনার মাহবুব আলম, ইকবাল চৌধুরী, এড. আবদুস সাত্তার সরওয়ার, এস.এম. আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক গাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর.ইউ.চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোশারফ হোসেন দিপ্তি, গাজী মো: সিরাজ উল্লাহ, শেখ নুরউল্লাহ বাহার, শামছুল হক, কামরুল ইসলাম, হাজী মো: তৈয়ব, এস.এম.জি আকবর, জহির আহমদ, ইব্রাহিম চৌধুরী, কমান্ডার সাহাব উদ্দিন, সিহাব উদ্দিন মোবিন, মোহাম্মদ আলী মিঠু, আব্বাস রশিদ, মাহমুদ আলম পান্না, হামিদ হোসেন, হাজী নুরুল আক্তার, আবদুল নবী প্রিন্স, মোহাম্মদ আলী, আবদুল বাতেন, সাবেক কাউন্সিলর মো: সেকান্দর,ইদ্রিস আলী প্রমুখ।