
নারীরাই আজ দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে উল্লেখ্য করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আর্নীতির সিংহভাগই আসে গামেন্টর্স শিল্প থেকে। তাই কৃষি ও বৈদেশিক শ্রমের পরেই নারী শ্রমিকদের উৎপাদিত পণ্য গামেন্টর্স শিল্প এদেশকে আজ বিশ্বের দরবারে সমৃদ্ধি করে রেখেছে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহিলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক উইম্যান্স এসএমই এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নারীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে বসবাস করছি। এক সময় ঘর থেকে বেরিয়ে ব্যবসা করলে সমাজ সমালোচনা করতো। সে ভয়ে অনেকেই যোগ্যতা থাকার পরও ব্যবসা-বাণিজ্যে যুক্ত হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি এখন পাল্টেছে। আগের সেই সোশ্যাল ট্যাবু এখন আর নেই।
বাংলাদেশে ১০ শতাংশ নারী ব্যবসায় জড়িত রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেছেন, এ হার ৫০ শতাংশ হওয়া প্রয়োজন। কারণ জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৫০ শতাংশের বেশি নারী।

তিনি এসএমই শিল্প উন্নয়নে নারীর অগ্রযাত্রাকে অত্যন্ত প্রসংশিত দাবি করে এ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহেত রাখতে নারী উদ্যোক্তদের দৃঢ়তা আহবান করেন।
চিটাগাং উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি মিসেস মনোয়ারা হাকিম আলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, মহিলা সাংসদ বেগম সাবিহা নাহার, ওয়াশিকা আয়শা খানম, মেহজাবিন মোরশেদ, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বর্তমান সরকার প্রধান নারী, বিরোধী দলী নেতা নারী, স্পিকার নারী আর অগ্নি আন্দোলনের নেত্রী (বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে) ও নারী, সুতারাং, আর যাই করুণ নারীরা মন্ত্রী বদলের দাবিটা করিয়েন না। সব দাবিই আমরা পূরণ করতে চাই কিন্তু আমাদের মন্ত্রী বদলের দাবি করলে বিপদে পড়বো।
তিনি নারী উদ্যোক্তার জন্য উইমেন চেম্বারকে বিভাগীয় কশিশনার মাধ্যমে আবেদন করে নির্ধারিত স্থান চাইতে অনুরোধ করেন।

বিশেষ অতিথিতর বক্তব্যে সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, নারী ছাড়া এদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় এবং দেশের অর্থনীতির ৮৫% যোগান নারীর মাধ্যমে গামেন্টর্স শিল্প থেকে আসে। তাই স্বনির্ভর দেশ উন্নয়নে নারীর অগ্রগতি ও উৎপাদনে নারীর ভূমিকা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।তিনি ইলিশ মাছের ডিম সংরক্ষনে নারী উদ্যোক্তদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানান।
উদ্বোধনী অতিথি ছিলেন মিসেস নাছিমা বেগম, এম.এ গনি চৌধুরী, আবিদা মোস্তফা, পরিচালক ও কামরুন মালেক, মিসেস রেখা আলম চৌধুরী, আইভী হাসান, রোকেয়া নাসরিন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে নারী উদ্যোক্তায় বিশেষ অবদান রাখাই ৫জন নারীকে সম্মাননা প্রদান এবং চট্টগ্রামে সেরা রাধঁনীকে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন। পরে অতিথিদের সাথে নিয়ে প্রধান অতিথি মেলার গেইটে নির্মিত জাহাজের চাকা ঘুরিয়ে-কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে মাসব্যাপী মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।