
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় মেঘনা পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ১৯ তলা বিশিষ্ট আইকনিক মেঘনা ভবনের নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ভবনের নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
দেশের স্বনামধন্য স্থপতি এনামুল কবির নির্ঝরের ডিজাইন করা এই ভবনটি নির্মান করছে বিখ্যাত আবাসন ও নির্মানসংস্থা এএনজেড প্রপার্টিজ লিঃ।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমতুল মুনিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, এএনজেড প্রপার্টিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন পারভেজ।
বক্তব্য রাখেন এ এন জেড প্রপার্টিজ লিমিটেড এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা প্রকৌশলী তানভীর শাহরিয়ার রিমন, ভবনের নকশাকার স্থপতি এনামুল কবির নির্ঝর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি বলেন বাংলাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে একটি নান্দনিক শহর চট্টগ্রাম। এই শহরকে আরও নান্দনিক করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এই নান্দনিকতার একটি অংশ হবে ১৯ তলা বিশিষ্ঠ মেঘনা ভবন।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম শহরকে পুরোপুরি আবর্জনামুক্ত করতে চট্টগ্রামের মেয়র বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করছেন। এখন এই শহরের যাবতীয় আবর্জনা দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকার পরে চট্টগ্রাম নয়, আমরা উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবার আগে চট্টগ্রামকে বিবেচনা করছি।
জ্বালানী খাত প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন তেল চুরি রোধ করা সম্ভব হলে বছরে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হতো। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জ্বালানী সরবরাহ দ্রুত সম বন্টন নিশ্চিত করতে পাইপ লাইন নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে এলপিজি সরবরহারের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৬০০ কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সব অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। যেসব অঞ্চলে একান্তই বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া সম্ভব নয় সেসব এলাকার জন্য ৪৬ হাজার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসির ঐকানিক ইচ্ছা ও প্রচেষ্ঠায় এই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে এই সরকারের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। মন্ত্রী পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯ তলা বিশিষ্ট মেঘনা ভবনের নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন।