ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চবিতে শিক্ষক অপসারণের দাবীতে প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রলীগের ভাংচুর, অবরোধ

চবির প্রধান ফটকে অবরোধ করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

চবির প্রধান ফটকে অবরোধ করেছে ছাত্রলীগের একাংশ।

একজন শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবরোধ এবং প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে চবি ছাত্রলীগের একাংশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটায় ছাত্রলীগ।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক আমীর উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল চবির স্থগিত কমিটির সভাপতি ছাত্রলীগের এ অংশটি।

তাদের বেধে দেয়া ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষ হতেই সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় উপাচার্যের কার্যালয়ের দুটি জানালার কাঁচ, ৫টি ফুলের টব, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের জানালার কাঁচ, ১০টি ফুলের টব, প্রশাসনিক ভবনের নীচে থাকা দুটি প্রাইভেট কার, তিনটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

ছাত্রলীগের এ অংশটি নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ভিসি কার্যালয়ের সামনে ভাঙচুর।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে জিরো পয়েন্ট থেকে আলমগীর টিপুর নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে দেড়টার দিকে সভাপতি ও অন্যান্য নেতারা উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে মিনিট পাঁচেকের ভেতর বের হয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এসময় একযোগে প্রশাসনিক ভবনের ছাত্রলীগ কর্মীরাও একযোগে ভাঙচুর শুরু করে।পরবর্তীতে তারা প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে প্রধান ফটক অবরোধ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছিল। এদিকে যোকন উদ্ভূত লপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

বিষয়টি স্বীকার করে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারী সাথে কথা আলোচনা করছে। পরিস্থিতি এখনো শান্তিপূর্ণ রয়েছে।

.

এদিকে সংবাদ সংগ্রহকালে বাংলাভিশনের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি শাহজাহান খান শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর সাথে যোগযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার ছাত্রলীগের প্যাডে স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন রিসার্চের (আই ই আর) সহযোগী অধ্যাপক আমীর উদ্দিনকে অপসারণের দাবি জানায় ছাত্রলীগের এ অংশটি।

অন্যাথায়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবে বলেও উল্লেখ করা হয়। যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ আন্দোলন তিনি চট্টগ্রাম নগরীতে সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্সের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সংগঠন ‘করদাতা সুরক্ষা পরিষদের’ও সাধারণ সম্পাদক।

.

ওই স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, এই শিক্ষক স্বপরিবারে শেখ হাসিনার শান্তিচুক্তি বিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত। পাশপাশি তিনি সর্বদা উন্নয়ন কর্মকান্ডের সমালোচনায় লিপ্ত থাকেন। তিনি করদাতা সুরক্ষা পরিষদের ব্যানারে গৃহকর নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এমনকি সামাজিক গণমাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের নামে বিষেদগার ছড়াচ্ছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির জন্য হুমকি স্বরূপ বলেও উল্লেখ করা হয়। তার নিয়োগও অবৈধ। তাই তার অপসারণ চায় ছাত্রলীগ।

এদিকে এর আগে আন্দোলনে যুক্ত থাকায় গতকাল রবিবার ছাত্রলীগের পরিচয় দানকারী বেশ কয়েকজন ওই শিক্ষকের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আন্দোলন না করার হুমকি দেয়। এসময় তারা নিজেদের নগর মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী বলে দাবি করে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print