কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
দুই ভূয়া ডাক্তারসহ ৬ জনকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি টীম। এসময় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওধুধ বিক্রির অভিযোগে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং সাত ডেন্টাল সার্জারী দোকান সীল গালা করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে কক্সবাজার শহরের পান বাজার ও হাসপতাল সড়ক এলাকায় র্যাব,সিভিল সার্জন অফিস ও ঔষুধ প্রশাসন যৌথ এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন দোকানে দীর্ঘদিনধরে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। বুধবার বিকালে কক্সবাজার শহরের পান বাজার ও হাসপতাল সড়ক এলাকায় র্যাব-৭,সিভিল সার্জন অফিস ও ঔষুধ প্রশাসন যৌথ অভিযান চালায়। কক্সবাজারের ২ জন ভূয়া ডাক্টারসহ ৬ জনকে বিভিন্ন মিয়াদে সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্মমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম ভেজাল ও মেয়াদ উর্ত্তীণ ঔষুধ রাখার দায়ে বিভিন্ন ফার্মেসীকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়সহ ৭টি ডেন্টাল সার্জারীর দোকান সিল গালা করা হয়েছে।
বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘন্টার অভিযান চলাকালে, ভেজাল ও মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষুধ রাখার দায়ে শহরের পানবাজার সড়কের খাঁন মার্কেটের আশা মেডিকেল হলকে ৭৫ হাজার টাকা, একই দোকানের ভূয়া ডাঃ কমল কান্তি ভট্টাচার্যকে ভ্রাম্যমান আদালত ২ বছরের সাজা দেয়। এছাড়া একই এলাকার শ্যামলী প্লাস নামে আরেক ফার্মেসীতে ভেজাল ও মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষুধ রাখার দায়ে ভাস্কর দাশ ও সাগর দাশ নামের আরো ২ জনকে ৬ মাস করে সাজা দেওয়া হয়। একই মার্কেটের রুস্তম মেডিকোকে ৭৫ হাজার টাকা,ঝিনুক ফার্মেসীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে হাসপতাল সড়কের ওরাল ডেন্টাল কেয়ারের ভূঁয়া ডাঃ শাখাওয়াদ হোসেন রাব্বিকে ১ বছর ৬ মাস, এবং কর্মচারী নূর মোহাম্মদ ও আশরাফ উদ্দিনকে ৩ মাস করে সাজা দেওয়া হয়।
পরে ওরাল ডেন্টাল কেয়ারের কোন বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় দোকান সিল গালা করা হয়। একই সড়কের ফেমাস ডেন্টাল কেয়ারের ভূঁয়া ডাঃ নজরুল ইসলামকে ১ বছর সাজাসহ দোকান সিল গালা করা হয়, ডিজিটাল ডেন্টাল সার্জারীর টেকনিশিয়ান বায়েজিদ রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় র্যাবের অভিযান টের পেয়ে ডাক্টার পালিয়ে যাওয়ায় পপুলার ডেন্টাল সার্জারী, কক্স ডেন্টাল সার্জারী, ওরাল এন্ড ডেন্টাল সার্জন, ফ্যামেলী ডেন্টাল সার্জারী, ফ্যাশন গ্যালারী ডেন্টাল ক্লিনিক সিল গালা করা হয়।
দীর্ঘ এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব ৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর রুহুল আমিন, কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের ডাঃ মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর,ঔষুধ প্রশাসনের তত্ত্াবধায়ক প্রিয়াংকা দাশ গুপ্তা, র্যাবের অতিক্তি পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম জানান, ঔষুধ প্রশাসনের ১৮/২৭ ধারা ও ২০১০ সালের ভোক্তা অধিকার আইনের ৫২ ধারায় ভেজাল, মেয়াদ উর্ত্তীণ এবং ভূয়া ডাক্টারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
