
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যায় জড়িত সন্দেভাজন পাঁচ খুনির দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ । তারা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সে জন্য নৌ ও বিমান বন্দর এবং সীমান্তে তাদের ছবিসহ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে বার্তা পাঠানো হয়। তারা হলেন- মুসা, রাশেদ, নবী, শাজাহান ও কালু।
গত ৫ জুনের হত্যাকান্ডে এরা সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা।তবে এদের ব্যাপারে গরমাধ্যমকে বিস্তারিত কিছু বলেননি পুলিশ কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে মুছাকে আরো আগে আটকের খবর বিভিন্ন সুত্রের বরাত দিয়ে গনমাধ্যম প্রকাশ হলেও তা স্বীকার করেননি পুলিশ।
সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার জানান পাঁচজন যাতে দেশের বাইরে যেতে না পারে, সেজন্য স্থল ও বিমানবন্দরগুলোকে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। মিতু হত্যাকান্ডে ‘সরাসরি জড়িত’ মোতালেব মিয়া ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেনের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এই পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতার কথা এসেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
ওয়াসিম ও আনোয়াকে গত শনিবার গ্রেফতারের পর সিএমপি কমিশনার বলেছিলেন, জিইসি মোড়ের কাছে মিতু হত্যাকান্ডে সাত-আটজন অংশ নিয়েছিল। তার মধ্যে ওয়াসিম গুলি চালান, আনোয়ার অনুসরণকারী ছিলেন।
তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতে ওই হামলার ‘অস্ত্র জোগানদাতা’ এহতেশামুল হক ভোলা ও মনির হোসেন নামে দুজনকে মঙ্গলবার গ্রেফতরের কথা জানায় পুলিশ।
মিতু হত্যাকান্ডের তদন্তে মামলার বাদী পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। মুসাসহ কয়েকজন আটক বলেও গণমাধ্যমে খবর এসেছে, তবে পুলিশ তা নাকচ করে আসছে। এ ছাড়া পুলিশের হাতে আটকদের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে কে এই মহিলা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।