ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সলিমপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্তি জবরদখল

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদে মোহাম্মদ মিয়াজী বাড়ীর মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরা মিয়ার বসতবাড়ীর জায়গা স্থানীয় প্রভাবশালী কর্তৃক জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অর্থ ও পেশী শক্তির বিনিময়ে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পতি দখল নিতে ইতোমধ্যে তারা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে একাধিক সদস্যকে আহত এবং বাড়ীঘর ভাংচুর করেছে বলে জানা গেছে।

মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা এবং স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, সলিমপুর ইউনিয়নের উত্তর সলিমপুর জাফরাবাদ এলাকার খাঁন মোহাম্মদ মিয়াজী বাড়ীর মরহুম মুক্তিযোদ্ধা গুরা মিয়ার প্রতিবেশী মোঃ মুছা জোরপূর্বক জায়গা দখল করে বাড়ী নির্মাণের কাজ করে আসছে।

মরহুম মুক্তিযোদ্ধা গুরা মিয়ার সন্তান কাওসার প্রথমে তাদেরকে মৌখিকভাবে বাড়ী নির্মাণ কাজ স্থগিত রেখে জায়গা জমি মাপ-ঝোপ সম্পন্ন করার অনুরোধ জানায়। তাতে তারা কর্ণপাত না করে নির্মাণ কাজ চালালে কাওসারুল আলম ও মোহাম্মদ মুছার মধ্যে পারিবারিকভাবে একটি সমঝোতা চুক্তি সম্পাদিত হয়। প্রভাবশালী মুছা ঐ চুক্তিকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে নিরূপায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আদালতের আশ্রয় নেন। আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীয় জায়গায় সকল প্রকার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার আদেশ দেন।

এদিকে আদালতের আদেশ অমাণ্য করে ঐ প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ করার পাশাপাশি হত্যার অব্যাহত হুমকি থেকে শঙ্কিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে সীতাকুণ্ড থানায় গত ৪ নভেম্বর একটি সাধারণ ডায়রী লিপিবদ্ধ করেন। দখলদারদের হুমকি-ধামকী, গালাগালি সব বিষয়ে থানাকে অবহিত করা হলেও প্রশাসন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাবার বিরুদ্ধে কোনরূপ ব্যবস্থা নেয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।

১৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সীতাকুণ্ড থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ( নং-১০৬৯) সূত্রে জানা যায়, এদিন দুপুর ১টার দিকে আবারো আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালাতে থাকলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান কাওসারুল আলম তাদেরকে নিষেধ করে। তখন মুছা ও তার অন্যান্য ভাই ওসমান, ঈসা, জামাল এবং মুছার দুই ছেলে সুমন ও রুমান মিলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কাওসারুল আলমকে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা প্রকাশ্যে লাঠিসোটা, দা-ছুরি, কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

পরে আহত কাওসারুল আলমকে সীতাকুন্ড উপজেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

আহত কাওসারুল আলম বলেন, আমরা অসহায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমাদের জায়গা জমি দখলে প্রভাবশালীদের সাথে বিরোধে না যাওয়ার জন্যই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে তারা তোয়াক্কা না করেই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি নিষেধ করাতেই তারা আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তারা মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়েও অপমানজনক গালাগালি দিয়ে যাচ্ছেন অবিরত। হুমকি দিচ্ছেন, যত টাকাই খরচ হোক প্রয়োজনে তারা তা করে আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধার সনদ নাকি বাতিল করাবেন। আমরা প্রশাসনের কাছে এর যথাযথ শাস্তি দাবী করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনে মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন। মামলা না হলে আসামীদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে তার অভিমত।

এদিকে কাওসারুল আলম এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরবর্তীতে আবারো হামলা শিকার হতে পারেন বলে শঙ্কায় আছেন। প্রভাবশালীদের অর্থ ও পেশী শক্তির কাছে তিনি অসহায় বোধ করছেন। এ ব্যাপারে তিনি এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print