
চট্টগ্রাম বন্দরে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে আনা দেড় কোটি টাকা মূল্যের একটি কাপড়ের চালান আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
চালানটি খালাসের সময় খালাস জাল কাগজপত্র তৈরীর মাধ্যমে আমদানি করা হয়েছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক চালানটির খালাস স্থগিত করা হয়। চীন থেকে এ চালানটি আমদানি করা হয়েছিল বলে কাস্টমস জানায়।
চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪৩৭/৪৫৭ গাজী শাহ লেন ঠিকানার অ্যাপারেল অপশন (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটি মিথ্যা ঘোষণায় বন্ড সুবিধায় পণ্য চালানটি আমদানি করার পর চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান হল নগরীর ২৪ পুরানা বাণিজ্য বিতান, ডিটি রোড় ধনিয়ালাপাড়ার প্যারামেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
পরে গোয়েন্দা অসুসন্ধ্যানে দেখা যায় ব্যাংক এলসিসহ সব ধরনের কাপজপত্রই জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরী করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তারেক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, আমদানিকারকের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃক কায়িক পরীক্ষার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত পণ্যচালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫/১১/২০১৭ তারিখে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে শুল্ক গোয়েন্দা। এতে ৩৬ টন উন্নত মানের কাপড় পাওয়া যায়।
চালানটি খালাস নিতে আমদানিকারকের পক্ষে গত ৮ নভেম্বর বিল অব এন্ট্রি (সি-১৩৯৭৪৫৬) দাখিল করে। ইউসিবিএল ব্যাংকের এলসি ও অন্যান্য দলিলাদি দাখিল করে খালাসের চেষ্টা করা হয়।
ভুয়া কাগপপত্রে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চালানটি খালাস নেওয়া হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটির খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। পরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের শতভাগ কায়িক পরীক্ষার আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) কায়িক পরীক্ষা করে শুল্ক গোয়েন্দা।
এতে ওই চালানে ৩৬ টন উন্নত মানের পলিস্টার কাপড় পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চালানটি কমার্শিয়াল। এছাড়া ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট, প্রত্যয়নপত্র (নং-ইউসিবি/জেবিআর/এনওসি/২০১৭/৩২৬) সেলস কন্ট্রাক্ট সবাই জাল।পণ্য চালানটি খোলা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা।