
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
”স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে সঠিক বিচার পেতে, চলো যাই গ্রাম আদালতে….” এই ম্লোগানে চট্টগ্রামের ৫টি উপজেলার ৪৬টি ইউনিয়নে আজ শনিবার সকাল ১০টায় স্ব স্ব ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যানগণের সভাপতিত্বে র্যারী ও আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পে দাতা সংস্থা ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি’র অর্থায়নে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)’র সহায়তায় এই প্রকল্পের কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে এই র্যালী করা হয়।
এ উপলক্ষে ফটিকছড়ির ১৪নং নানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ওসমান গনি বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত র্যালীটি ইউনিয়ন পরিষদ, নানুপুর কালুমুন্সিরহাট, খিরামরোড়, আবুসোবাহান স্কুল মাঠ ঘুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়। গ্রাম আদালত সহকারী মো. আলী হোসেনের সঞ্চালিত আলোচনা
সভায় বক্তব্য রাখেন, গ্রাম আদালত ফটিকছড়ির সমন্বয়ক মো. মুহসীন, নানুপুর ইউপি সদস্য মো. আমান উল্লাহ,মো. শফিউল আলম, মো. ইউনুছ, বীনা রানী মহাজন, মমতা দাশ, মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম, সমাজ সেবক সেলিম জাফর, শরীফ উল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী আবুল মনসুর, দিদারুল আলম প্রমুখ।
এ ব্যাপারে গ্রাম আদালতের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক সাজেদুল আনোয়ার বলেন, গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থী ও পক্ষগণ সমঝোতা করে বিরোধ নিষ্পত্তি, দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় প্রকার বিরোধ নিষ্পত্তি, দ্রুত ও কম সময়ে ৭৫ হাজার টাকা মুল্যমানের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে। ফৌজদারী মামলার জন্য ১০ টাকা এবংদেওয়ানী মামলার জন্য ২০ টাকা ফি ছাড়া আরকোন খরচ লাগেনা। তাই চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, সীতাকুন্ড, লোহাগাড়, সাতকানিয়া, সন্ধীপ উপজেলার ৪৬ ইউনিয়নে এই সচেতনতা র্যালী করা হয়।