সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার বার আউলিয়ায় শ্বশুর বাড়ি থেকে আয়েশা আকতার (৪০) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহততের স্বামী বলেছে তার স্ত্রী ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করেছে। অপরদিকে আয়শার পরিবারের দাবী শশুর বাড়ির লোকজনের আয়েশা আকতারকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
পুলিশ আয়েশা আকতারের স্বামী ছালেহ আহম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল ৫ টার সময় উপজেলার সোনাইছড়ির বার আউলিয়া এলাকার বক্তারপাড়া ফকির আহমেদের বাড়ী থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
সীতাকুণ্ড থানার এসআই তারেক সুমন এ ঘচনা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আয়শার পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, ২১ বছর আগে বার আউলিয়া বক্তারপাড়া এলাকার ফকির আহমেদের ছেলের সাথে কুমিরা নিউ রাজাপুর এলাকার সেলিম কমান্ডারের বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের মেয়ে আয়েশা আকতারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৬ পুত্র সন্তান রয়েছে।
আয়েশা আকতারের বড় ভাই সেলিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে আমার বোনকে নির্যাতন করে আসছে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক বার শালিশ বিচারও হয়েছে। আজ বিকাল তিনটার দিকে আমরা খবর পাই আমার বোন আত্নহত্যা করেছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্হলে এসে দেখতে পাই লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। আমার বোনকে তারা মেরে লাশ ঝুলিয়ে দিয়েছে।
আয়েশা আকতারের স্বামী ছালেহ আহমেদ বলেন, দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে আমি ঘুমে ছিলাম, আমার ছোট ছেলে আমাকে ডেকে বলল তার মা ঝুলে আছে, আমি আমার স্ত্রীকে ঝুলন্তবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে আনি, তবে তার দুইপা মাটির সাথে লাগানো ছিল। সে কি কারণে আত্নহত্যা করেছে জানিনা।
এলাকার ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্হলে গিয়ে ঘরের মেঝেতে লাশটি দেখেছি তবে শুনেছি সে আত্নহত্যা করেছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই তারেক সুমন বলেন, আমরা খবর পেয়ে বিকাল ৫টার সময় লাশটি উদ্ধার করি। শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পোষ্টমোটেম রিপোর্টের পর জানা যাবে হত্যা না আত্নহত্যা।
