ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পোশাক

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

চাকমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, লোক সাহিত্য, সাহিত্য ও ঐতিহ্য রয়েছে ।দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে চাকমা মেয়েদের পরিধেয় পোশাক দুটি অংশে বিভক্ত। একটি ‘পিনন’ এবং অপরটি ‘খাদি’। শরীরের নিম্নাংশের পোশাককে বলে পিনন। যা দেখতে অনেকটা সেলাইবিহীন লুঙ্গির মতো। এটি সূক্ষ্ম সুতো ও কমর তাঁত দিয়ে তৈরি হয় এই পোশাক।

এ পোশাকের বামদিকের নকশা সমৃদ্ধ অংশকে বলে ‘চাবুকি’। অন্যদিকে, শরীরের ওপরের অংশের বক্ষবন্ধনী পোশাকটি খাদি নামে পরিচিত। এ খাদি আবার দু-ধরনের ‘রাঙ্গাখাদি’ ও ‘চিবিকটানা খাদি’। রাঙ্গাখাদিতে বিভিন্নরকমের নকশা ও বৈচিত্র্যময় ডিজাইন থাকলেও চিবিকটানা খাদিতে কোনো নকশা থাকে না। বিঝু এবং বিয়ের উৎসবেও ঐতিহ্যবাহী এই পিনন ও রাঙ্গাখাদি পরা হয়। এর সাথে থাকে বিভিন্ন গহনা, যা সাধারণত রূপার হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য সময় মেয়েরা স্বর্ণালঙ্কারই বেশি পরে থাকে। গয়নাগুলো হাজুলি, পয়জে মালা, হারু, টেঙয়ত হারু প্রভৃতি স্থানীয় নামে পরিচিত।

চাকমা ছেলেদের পোশাকে তেমন কোনো বৈচিত্র্যতা নেই। ছেলেরা নিজস্ব বুননের শার্ট, ধুতি, ফতুয়া, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি পরে। আর বিয়ের সময় মাথায় এক ধরনের কাপড় পেঁচিয়ে রাখে। চাকমা ভাষায় যা ‘হবং’ নামে পরিচিত। তবে বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠানে আধুনিক পোশাক হিসেবে অনেকেই প্যান্ট, স্যুট, টাইও পরে।

চাকমাদের সবচেয়ে বড় জাতিগত উৎসব বিজু। বাংলা বছরের শেষ দুদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালন করা হয়। বাংলা বছরের শেষ দিনের আগের দিনকে বলা হয় ফুল বিজু এবং শেষ দিনকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি বা মূল বিজু। ফুল বিজুর দিন সকাল বেলা চাকমারা ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করে ফুল দিয়ে সাজায়, বুড়ো-বুড়িদের গোসল করায়, নতুন কাপড় দেয়।

রাতে বসে পরের দিনের পাচন তরকারি রান্নার জন্য সব্জি কাটতে বসে যা কমপক্ষে ৫টি এবং বেশি হলে ৩২ রকম সব্জির মিশেলে রান্না করা হয়। পরের দিন মূল বিজু, এদিন চাকমা তরুণ-তরুণীরা খুব ভোরে উঠে কলা পাতায় করে কিছু ফুল পানিতে ভাসিয়ে দেন। তারপর সবাই বিশেষ করে ছোটোরা নতুন জামা-কাপড় পরে বাড়ি বাড়ি ঘুরতে থাকে। তবে গ্রাম গুলোতে প্রাচীনকালের মতোন করে “ঘিলে হারা” (খেলা) হয়। পরের দিন নতুন বছর বা গয্যে পয্যে, নতুন বছরের দিন সবাই মন্দিরে যায়, খাবার দান করে, ভালো কাজ করে, বৃদ্ধদের কাছ থেকে আশীষ নেয়।

চাকমা লোকসাহিত্য বেশ সমৃদ্ধশালী। তাদের লোক কাহিনীকে বলা হয় ”উবগীদ” । চাকমাদের তাল্লিক শাস্ত্র বা চিকিৎসা শাস্ত্র অনেক সমৃদ্ধ। আর বয়ন শিল্পে চাকমা রমণীদের সুখ্যাতি জগৎ জুড়ে।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print