চিকিৎসকদের বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার রাতে ১০টার দিকে নগরীর জিইসির মোড় থেকে গোলপাহাড় মোড় পর্যন্ত এ সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট, অফিস ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের কয়েকজন চিকিৎসক ও ইন্টার্নি চিকিৎসকদের সাথে মেট্টোপলিটন হাসপতালে ডা. আশরাফের ব্যবসায়িক বিরোধ বাধে। এ নিয়ে দুপক্ষ দলবল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয়ে মারামারির জন্য চমেক ছাত্রলীগ ও এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে।
দুপক্ষই মেয়র আ জ ম নাছির ও সাবেক মেয়র নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী সমর্থিত ছাত্রলীগ। এর মধ্যে চমেক ছাত্রলীগ নাসির গ্রুপ ও এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ।
আহতদের মধ্যে চমেক ছাত্রলীগের কয়েকজন হলেন-কলেজ ছাত্রসংসদের ভি.পি সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সজীব, প্রো-ভিপি শোয়াইব, আহবায়ক মিতুল, চমেকসু এর জিএস আকাশ, সহ-সভাপতি সুফিয়ান, ফয়েজ, সাজ্জাদ, নাঈম, জয়, মুরাদ, মাহমুদ ও রাহাত।
এছাড়া নাসির গ্রুপের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছে নগর ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মিনহাজুল আবেদীন সানি ও সদ্য সাবেক ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলামে মাসুম। তাদের আশঙ্কাজনকবস্থায় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল হুদা রাতে পাঠক ডট নিউজকে বলেন, ডাক্তারদের দুইটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিয়ে একটি ছাত্র সংগঠনের ছেলেরা মারামারিতে লিপ্ত হয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েবজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তাদের নাম পরিচয় আমরা এখনো পায়নি।
চমেক হাসপাতালের শিক্ষনবিশ চিকিৎসক আশফাক হুদা জানান, হাসপাতালের কয়েকজন ইন্টার্নিদের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে মেট্টোপলিটন হাসপাতালের সিনিয়র ্একজন ডাক্তারের বিরোধ চলছিল। আজ ছাত্রলীগের ভিপির নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ছাত্র তা নিষ্পতি করতে গেলে তাদের উপর মেট্টোপলিটনের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে বলে শুনেছি। তবে কি কারণে এ বিরোধ তা জানি না।
এদিকে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৮ জনকে আহতবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই মেডিকেল কলেজের ছাত্র।
আহত আরো ২ জনকে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
