
দেশের তৈরী পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে উল্লেখ্য করে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু) বলেছেন- এ’অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বিজিএমইএ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম কমিশনার কাস্টম হাউসের নব-নিযুক্ত কমিশনার বাংলা ডক্টর এ.কে.মে. নুরুজ্জামান এর সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শুরুতেই পোশাক শিল্পের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু) বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন পদ্ধতি বাস্তবায়ন সহ পোশাক শিল্পের কাঁচামাল দ্রুত শুল্কায়ন পূর্বক কাস্টমস্ ও বন্দরের কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে একই দিনে পন্য খালাস সহ আমদানী-রপ্তানীর প্রক্রিয়া সহজীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময়কালে নব-নিযুক্ত কাস্টমস্ কমিশনার ডক্টর এ.কে.এম. নুরুজ্জামান- দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তৈরী পোশাক শিল্পের অবদানের প্রশংসা করেন। পোশাক শিল্পের রপ্তানীকে অগ্রাধিকার প্রদান করে কাস্টম কার্যক্রম সহজীকরণ পূর্বক আমদানী-রপ্তানীর প্রক্রিয়া তরান্বিত করা হবে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে বিজিএমইএ’র সাথে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ’র পরিচালক সর্বজনাব কাজী মাহাবুব উদ্দিন জুয়েল, এ.এম. মাহাবুব চৌধুরী, আমজাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।