ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্বাধীন এ রাষ্ট্রকে আওয়ামী লীগ গোরস্থানে পরিণত করেছে

নিহত হারুন চৌধুরী।

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

নিহত হারুন চৌধুরী।

কদমতলীতে প্রকাশ্য দিবালোকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি পাঠিয়েছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ। রবিবার সন্ধ্যায় সংবাদপত্রে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন-চট্টগ্রামের কদমতলী রেলক্রসিং সংলগ্ন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসা অবস্থায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হারুন চৌধুরী (৩৬) নিহত হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার বিকাল ৪ টায় সদরঘাট থানা আওয়ামীলীগের আনন্দ মিছিল থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসা অবস্থায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হারুন চৌধুরীকে হত্যা করে। নিহত হারুন চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর চৌধুরীর ভাতিজা।

এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান এক যুক্ত বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা কব্জায় রাখতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের হত্যার মিশনে নেমেছে। চট্টগ্রামের কদমতলীতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হারুন চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তারা এই প্রতিবাদ জানান।

রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় কদমতলীস্থ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে একদল সশস্ত্র যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী তাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করাকে কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়ে এই মর্মস্পর্শী ও পৈশাচিক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘দেশব্যাপী বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যার মাধ্যমে হাত রক্তে রঞ্জিত করে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটিকে এখন গোরস্থানে পরিণত করা হয়েছে। শহর, গ্রামসহ দেশের জনপদের পর জনপদে মানুষ হত্যার মহাযজ্ঞ যেন থামছেই না। তারা বলেন, ‘বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা কব্জায় রাখাই এখন আওয়ামী রাজনীতির সংস্কৃতি। এই সরকার বিএনপির বলিষ্ঠ নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে হত্যা করার মিশন নিয়ে কাজ করছে, আর সেই মিশনেরই নিষ্ঠুর শিকার হলেন মোঃ হারুন চৌধুরী। হারুন চৌধুরীকে নির্মম কায়দায় হত্যা সরকারের ধারাবাহিক প্রাণঘাতী নৃশংসতারই আরেকটি বহিঃপ্রকাশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকারের বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যা করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে যাতে এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজের মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করে এবং কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস না পায়। দুর্বিনীত অনাচার ও প্রতিদিন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে দেশকে এক মহাদুর্যোগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। নেতৃবৃন্দ নিহত হারুন চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।-প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print