
নগরীর ইপিডেড এলাকার এক ব্যক্তির কাছে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে আটক হয়েছে সরফুদ্দিন চৌধুরী (রুমেল) নামে এক ভুয়া সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দরটিলা এলাকা থেকে আটকের পর তাকে ইপিজেড থানায় দেয়া হয়েছে।
পুলিশ এ ভুয়া সাংবাদিকের কাছ থেকে সাপ্তাহিক চাটগারঁ পত্রিকা, সিটিজি ক্রাইম টিভি (অনলাইন), দি ক্রাইমসহ কিছু অখ্যাত পত্র পত্রিকার পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে।
চাঁদাবাজির শিকার ইপিডেজস্থ সততা ভিশন ও বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন দুলাল জানান, রাতে আমার কাছে প্রথমে ফোন করে এক লাখ টাকা দাবী করে এ সাংবাদিককে আমি আমার অফিসে আসতে বললে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে আমার অফিসে আসে এবং আমার কাছে মাসে মাসে চাঁদা অথবা এককালীন এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।
পরে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে এসআই আসাদ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করে ইপিজেড থানার নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ তার ব্যাগ থেকে অখ্যাত তিনটি পত্রিকার ৩ টি আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, বিজ্ঞাপন বিলের ভাউচার, একটি মোবাইল, কালো রঙের ব্যাগসহ কয়েকটি পুরাতন পেপার উদ্ধার করেছে।
ইপিডেজ থানার পুলিশ এসআই আসাদ রাতে পাঠক ডট নিউজকে জানান, চাঁদা দাবীর অভিযোগে এলাকার ব্যবসায়ীরা সরফুদ্দিন চৌধুরী নমে এক যুবককে পুলিশে দিয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে চাঁদা দাবীর বিষয়টি। এ যুবক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তার কাছ থেকে সিআইডি গোয়েন্দা সংবাদদাতার ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
সে সাপ্তাহিক চাটগারঁ পত্রিকা, সিটিজি ক্রাইম টিভি (অনলাইন),দি ক্রাইম এবং সিআইডি (গোয়েন্দা) সংস্থার পরিচয় দিয়ে বন্দর-পতেঙ্গা এবং ইপিজেড এলাকায় ব্যাপাক হারে চাঁদাবাজী করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবত।
তার বাড়ী মীরসরাই উপজেলায় এবং বতর্মানে নগরীর আগ্রাবাদ মাজার গেইটে ভাড়ায় বাসায় থাকেন বলে জানান।
এসআই আসাদ আরো জানান, ধৃত রুমেল জানায় এক বছর আগে চাঁদাবাজির ঘটনায় আটক হয়ে কোতোয়ালী থানায় স্ট্যাম্পে সই দিয়ে আর চাঁদাবাজী করবে না বলে ছাড়া পেয়েছিল। পরে সে দ্বিগুণ উৎসাহে সাংবাদিক ও গোয়েন্দা পরিচয়ে চাঁদাবাজী শুরু করে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।