
পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার বাশঁবাড়িয়া উপকুলীয় এলাকার দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করা হয়েছে।
আজ ৯ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় নির্মান কাজের উদ্ভোধন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম এমপি।
পোল্ডার নং-৬১/১ এর বিভিন্ন অবকাঠামোর ভাঙ্গন প্রতিরোধ, নিস্কাশন এবং সেচ ব্যবস্হা উন্নয়নের জন্য পূনর্বাসন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২.১৫০ কিলোমিটার ডাল সংস্কারসহ সী-ডাইক নির্মাণ কাজের ব্যায় ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি টাকা। ৬ নং বাশঁবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত জাহাঙ্গীর এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন ধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ডের স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক একেএম মমতাজ উদ্দিন, জাতীয় পাটি কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব দিদারুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাক, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভুইয়া, উপজেলা জাতীয় পাটি সভাপতি রেজাউল করিম বাহার,সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, ছাত্রলীগ সভাপতি ফারুক চৌধুরীসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ যে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে প্রচণ্ড জোয়ারের তোড়ে ভেসে যায় এলাকার বেড়িবাঁধ। এরপর বিশাল এলাকায় স্থানীয়ভাবে আর কোন বাঁধ তৈরি হয়নি। শুধু বাঁশবাড়িয়াই নয়, সীতাকুণ্ডের কুমিরা , সোনাইছড়ি প্রভৃতি ইউনিয়নের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায়ও একই অবস্থা বিরাজ করছে। ৪৮ হাজার ৩৯৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সীতাকুণ্ডের বেড়িবাঁধের আওতায় রয়েছে ২৬ কিলোমিটার এলাকা।

কিন্তু এর কোথও কোথাও কোনো বেড়িবাঁধ নেই।সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর ধরে বেড়িবাঁধ ভেঙে বাঁশবাড়িয়ার বোয়ালিয়াকূল ও আকিলপুর এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার,সোনাইছড়ির ঘোড়ামাড়ার এলাকার ২ স্থানে প্রায় ১ কিলোমিটার ও কুমিরার ঘাটঘর,বাঁশবাড়িয়ার এলাকায় কিছু অংশের ফসলি জমি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতি বর্ষায় সাগরের
পানি ঢুকে ফসলি জমিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অন্তত ৫ হাজার পরিবার ।
বেড়িবাঁধ ভাঙনের পর থেকে জমিতে বর্ষাকালে চাষাবাদ করা যায় না। শীত মৌসুমে চাষাবাদ করা গেলেও লবণাক্ততার কারণে ভালো ফসল পাওয়া যায় না। বেঁড়ি বাধ নির্মাণের দাবীতে এলাকাবাসীর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ২৭ বছর পর অবশেষে ৩৯ কোটি টাকা ব্যায়ে বাঁধ নির্মাণ কাজের উ ধন করা হয়।