
চট্টগ্রামে ইউনিলিভারের বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী পণ্য জব্দ করেছে র্যাব। সোমবার বিকেলে নগরীর চান্দগাঁও থানার বালুরটাল এলাকায় আফরিন ট্রেডার্স নামে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করে র্যাব-৭। এসময় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, হেলাল উদ্দিন (৩০), মো. জাহেদ আলী (৩৫), আব্দুল মালেক (৫৫) এবং আমিনুল ইসলাম (৩৭)।
অভিযানে ইউনিলিভার ব্র্যান্ডের নকল সিল লাগানো ক্লোজআপ, পেপসোডেন্ট টুথপেস্ট, ডাব সাবান ও শ্যাম্পু, ক্লিয়ার, সানসিল্ক শ্যাম্পু এবং পন্ডস ও ভ্যাসেলিন ক্রিমসহ ১৫ কাটন বিভিন্ন প্রসাধনীর জব্দ করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিমতানুর রহমান পাঠক ডট নিউজকে জানান, একটি অসাধু চক্র ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এর লগো ব্যবহার করে অবৈধভাবে নকল পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করে বাজারজাত করে জালিয়াতি করে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরো বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে দীঘদিন যাবৎ তারা প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির এ কাজ করে আসছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইউনিলিভার পণ্যের ব্যবহৃত বিভিন্ন মোড়ক যোগাড় করে সেগুলোকে রিফাইন করে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরিকৃত পণ্য ভরে সেগুলো বাজারজাত করে আসছিল। যার ফলে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের উপ-পরিচালক লে.কমান্ডার আশিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করে চার জনসহ নকল পণ্যগুলো জব্দ করা হয়। আটককৃতদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। যার প্রধান আমিনুল ইসলাম। তারা চারজন মিলেই নকল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করে। সেখানে ইউনিলিভারের সিল লাগায়। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের সাথে এমন প্রতারণা করে আসছিল।
শীতকে টার্গেট করেই বিপুল নকল প্রসাধনী পণ্য তৈরির পরিকল্পনা ছিল চক্রটির। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।