
চট্টগ্রামের ফটিকছরিতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সাড়ে ৩ কোটি টাকার টেন্ডার সিডিউল বিক্রি করেনি ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফটিকছড়ির ঠিকাদাররা জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সূত্র জানায়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের বার্ষিক উন্নয়নকর্মসূচীর আওতায় ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে (এইচবিবি) করণ প্রকল্পে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ৯ হাজার মিটার সড়ক উন্নয়নে ৩ কোটি ৪১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার টেন্ডার গতকাল মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর ও তার আগের দিন সোমবার সিডিউল বিক্রি এবং আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার টেন্ডার সিডিউল ড্রফ করার ধায্য দিন ছিল।
টেন্ডার ফরম বিক্রি করেননি বলে অভিযোগ করেন সালেহ এন্ড সন্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ আলী ও জে এন ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী বোরহান আহমেদ। তারা বলেন, আমরা সিডিউল ফরম না পেয়ে পিআইও তারিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাই। তখন আমরা
বিষয়টি নিয়ে ফটিকছড়ির ইউএনও দীপক কুমার রায়কে অভিযোগ করেছি। তিনি বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানিয়েছেন।
ফটিকছড়ির ঠিকাদারগণ অভিযোগ করে বলেন, চট্টগ্রামের দুই শীর্ষ ঠিকাদার প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নিতে পিআইও তারিকুল ইসলামের সাথে আঁতাত করেছে। তাই সে দুই দিন যাবৎ অফিসে আসেনি। মুঠোফোনও বন্ধ রাখে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা তার অফিস পাহারায় রেখেছি এবং সব মহলে অভিযোগ জানিয়েছি।
ফটিকছড়ির ইউএনও দীপক কুমার রায় সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলামের ছুটি নেননি। অফিসেও আসেননি। তার মুঠোফোন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার ১০টি প্রকল্পের ৫টি প্যাকেজের সিডিউল বিক্রির দিন ধার্যছিল। বিভিন্ন ঠিকাদারগণ টেন্ডার ফরম না পেয়ে আমাকে জানিয়েছিল। সুষ্ঠুভাবে সিডিউল বিক্রি ও টেন্ডার ড্রপ করতে উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব হলেও, সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারাই সব কিছু করেন। বাকিটা আমি মনিটরিং করি। তাদের অনুপস্থিতিতে কিছু করা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফটিকছড়ির প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলামের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,বিষয়টি মুটোফোনে ঠিকাদাররা আমাকে জানিয়েছেন। আমিও চেষ্টা করেছি প্রকল্প কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।