
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেডে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে চাকুরীচ্যুত আনসার সদস্য ও কথিত এক সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
পরে ইপিজেড থানা পুলিশ আপসরফার মাধ্যমে থানা থেকে তাদের ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একটি ফার্মেসীতে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করলে এলাকাবাসী তাদের জিম্মি করে থানায় সোর্পদ করে। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ ইপিজেডের লেবারকলোনীস্থ মেসার্স আমিন মেডিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় ‘দৈনিক নব অভিযান’ পত্রিকার কার্ডসহ সাংবাদিক মো: হানিফ (৩৫) ও চাকুরীচ্যুত আনসার সদস্য রতন মল্লিককে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ফার্মেসীর মালিক মো:হাসানুজ্জামান পাঠক ডট নিউজকে জানায়, আমার একটি ফার্মেসীর দোকান আছে। কিছুদিন আগে রতন মল্লিক ( চাকুরীচ্যুত আনসার সদস্য ) আমার দোকানে এসে অগোচরে আমার একটি ছবি তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা ‘দৈনিক অগ্নিশিখা’ নামক একটি পত্রিকায় ‘চট্টগ্রামে ভূয়া ডাক্তার হাসানুজ্জামানের চিকিৎসা বাণিজ্য’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর পত্রিকার কপি দেখিয়ে তারা আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবী করে অন্যথায় আমাকে নিয়ে আরো প্রতিবেদন করা হবে বলে জানায়। পরে তাদেরকে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দোকানে ঢেকে এনে এলাকবাসীর সহায়তায় আটকে রেখে পুলিশে সোর্পদ করি।
ইপিজেড থানার অফিসার এএসআই শামশুদ্দিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঠক ডট নিউজকে জানায়, এলাকাবাসী চাঁদাদাবীর অভিযোগে দুই সাংবাদিককে আটক করে থানায় খবর দিলে আমরা আটককৃতদের ঘটনাস্থান থেকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসি। এসময় মো. হানিফের কাছ থেকে একটি পত্রিকার পরিচয় পত্র ও রতন মল্লিকের কাছ থেকে আনসার বাহিনীর একটি পরিচয় পত্র উদ্ধার করি। পরে আজ শনিবার বেলা ২টা নাগাদ তারা এ ধরনের কাজ আর কখনো করবেনা বলে অঙ্গীকারনামাতে স্বাক্ষর করলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এব্যাপারে ‘দৈনিক অগ্নিশিখা ও নব আভিযান’ পত্রিকা দুটির চট্টগ্রামের দায়িত্বে থাকা মো: হাসান বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, একটি সন্ত্রাস ও এলাকার অন্যায়কাজে লিপ্ত এমন মহলের রোষানলের কবলে পড়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিনি জানান তার পত্রিকায় কর্মরত কেউই এমন কাজে লিপ্ত নন। এটি সম্পূর্ণ সাজানো বলে দাবী করেন।