
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিনেই চট্টগ্রামে চার নারী ধর্ষনের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)। তারা হলেন, আবু সামা (৩২) ও মিজান মাতব্বর (৪৫)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাদের গ্রেফতার করে পিবিআই। এর আগে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছিল।
পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত জঘন্য ছিল। এটা চাঞ্চল্যকর মামলা বিধায় থানা পুলিশের কাছ থেকে মঙ্গলবার আমরা মামলার দায়িত্ব নিয়েছি। এরপর অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছি আমরা। এরমধ্যে আবু সামা হচ্ছে মূল অপরাধী।
অপর আসামী মিজান মাতব্বকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। সে তার দোষ স্বীকার করেছে। আবু সামার নেতৃত্বে পাঁচজন ঘরে ঢুকে ডাকাতি ও চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত।
তিনি বলেন, জড়িতদের মধ্যে একমাত্র আবু সামা স্থানীয় আর বাকি চারজন এলাকায় বহিরাগত। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার পর কর্ণফুলী থানা যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল তারা কেউই এর সঙ্গে জড়িত নয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, চার নারীকে ধর্ষণের মামলায় মিজান মাতব্বর নামে এক আসামিকে আদালতে হাজির করেছে পিবিআই। মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে আসামি জবানবন্দি দিচ্ছেন।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে এক বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢুকে চার নারীকে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। যাওয়ার সময় তারা ১১ ভরি স্বর্ণালংকার, মূল্যবান সামগ্রী ও ৫টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন বেড়াতে আসা ননদ।
ঘটনার পরদিন বুধবার কর্ণফুলী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। উল্টো অভিযোগকারীকে পুলিশ নানাভাবে হয়রানী করে বলে অভিযোগ উঠে। ঘটনার পাঁচদিন পর স্থানীয় সাংসদ ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নির্দেশে এ মামলা নেয় পুলিশ। ঘটনার ছয়দিন পর সোমবার সকালে চার ভিকটিমকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।
গতকাল সোমবার পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের ব্যর্থতার কথা প্রকাশের পর আজ মঙ্গলবার পিবিআইকে এ মামলার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।