
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সেনাবাহিনী অবকাঠামো, কৌশল ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিগত দশকের সেনাবাহিনীর তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে।
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে ৭৫তম বিএমএ লং কোর্সের কমিশনডপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের প্রেসিডেন্ট প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বলেন, ‘বর্তমান সময়ের সেনারা আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সাজসরঞ্জামের সমন্বয়ে অনেক বেশি উন্নত, প্রশিক্ষিত ও বুদ্ধিদীপ্ত।
শেখ হাসিনা জানান, ‘গত ৯ বছরে সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাসদস্যদের সামর্থ বৃদ্ধিতে কাজ করেছে সরকার।’
সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী ও প্রশিক্ষিত বাহিনী হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত প্রতিরক্ষা নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনকের গৃহীত নীতি অনুসারে ‘প্রতিরক্ষা বাহিনী লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ নীতিমালা’ তৈরি করছে সরকার।’
নতুন কমিশনডপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিন বছরের প্রশিক্ষণ শেষে প্রথম লেফটেনেন্ট পদে কমিশনডপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের জন্য আজ একটি বিশেষ দিন।’
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে সদাপ্রস্তত ও সচেতন থাকার জন্য তাদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা তোমাদের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব। নিঃস্বার্থভাবে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করতে হবে।’
এছাড়া নতুন কর্মকর্তাদের সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রতি আনুগত্য ও অধস্তনদের প্রতি সমানুভূতি প্রকাশের পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ও বিদেশে অর্পিত দায়িত্বসমূহ দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে পালন করে প্রশংসা অর্জন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কাজ করছে তার সরকার।’
রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর দক্ষতার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয় ক্যাম্প স্থাপন, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, পরিচয়পত্র তৈরিতে সেনাবাহিনীর অবদান তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্যালুট গ্রহণের পর অসাধারণ কর্মদক্ষতার জন্য শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।