
চট্টগ্রামের পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাদের সংঘর্ষে ১০পুলিশসহ অন্তত ২২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ এসময় মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় নগরীর কাজীর দেউড়ির বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।

আটককৃতদের কয়েকজন হলেন-মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, মহানগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম লুৎফুর নেছা, মহিলা দলের সি. যুগ্ন সম্পাদক আখিঁ সুলতানা, যুগ্ন সম্পাদক আরজু নাহার মান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়া আক্তার উষা, প্রচার সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটা, দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের আহবায়ক জান্নাতুল নাঈম রিকু, যুগ্ন আহবায়ক সেলিনা হক।
কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, সংঘর্ষে পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টরসহ ১০ পুলিশ আহত হয়েছে।
এছাড়া মহানগর বিএনপির সি. সহ সভাপতি আবু সুফিয়ানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নাসিমন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। দুপুরের দিকে পুলিশ বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবন ঘেরাও করে ফেলে। এসময় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের হাতাহাতি ধস্তাধস্তির পর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান নেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাতের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাঁকে কার্যালয়ে ভিতর অবরুদ্ধ রাখার চেষ্টা করে।
বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে নাশকতার আশংকায় চট্টগ্রামে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। শত শত পুলিশ নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির মহানগর দলীয় কার্যালয় অবরোদ্ধ করে রাখে।

বেলা দেড়টার দিকে পুলিশ হঠাৎ লাঠিচার্জ শুরু করলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় পুলিশের ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীরা। এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ডা, শাহাদাতকে আটক করার চেষ্টা করলে নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়িয়ে নেয়। এরপর তিনি দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। এরপর তিনি কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎ দেয়ার সময় কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ দল বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে শাহাদাতসহ অন্তত ১২ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।