
চবিতে মেয়র নাছির অনুসারী ছাত্রলীগের অবরোধ চলাকালীন ১৪ টি বাস ভাংচুর, প্রক্টর অফিসে ও সাংবাদিকদের উপর হামলাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবীতে রবিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্রলীগ নওফেল গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে আল্টিমেটামের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন।
তিনি বলেন, ভাঙচুর ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবীতে রবিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছি।
এছাড়া এসময়ের মধ্যে প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা জামায়াত শিবিরের এজেন্টদেরও বের করার দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হব।
এ দিকে মঙ্গলবারে ছাত্রলীগের একাংশের ভাঙচুরের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী। তিনি বলেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সফিউল আলমকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তদন্তের ভিত্তিতে আমরা ব্যাবস্থা নেব।
কমিটির অন্য দু’জন সদস্য হচ্ছেন আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর আবু নোমান ও সহকারী প্রক্টর ফণীভূষণ।
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি আবাসিক হলে পুলিশী তল্লাশী ও ১২ কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর পদত্যাগ দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মেয়র নাছির অনুসারী গ্রুপ।
এসময় তারা ক্যাম্পাস জুড়ে ব্যাপক তান্ডব চালায়।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে হামলা,ভাঙচুর, সাংবাদিকদের মারধর, ১৪টি গাড়ী ভাঙচুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি ভবনে হামলা করে অবরোধকারীরা।