
চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহরের বাল্য বিয়ের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে হোসনে আক্তার হ্যাপি নামে ১৪ বেছরের এক কিশোরী। স্থানীয় ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধুরীর সহায়তায় এলাকার সচেতন লোকজন বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালে পণ্ড হয়ে যায় এ বিয়ে। রক্ষা পেয়েছে দুই কিশোর কিশোরী ভবিষ্যত জীবন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধুরী বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে হালিশহর এ-ব্লক, বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন কাজী মো.খলিলুর রহমানের অফিসে চলতি বছর জেএসসি পাস করা কিশোরী হোসনে আক্তার হ্যাপি ও হালিশহর আইডিয়াল স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র পনির হোসেন হৃদয় (১৮) বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল।
জানাগেছে দুই পরিবারের সম্মতিতে এ বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। কিশোরী হ্যাপি হালিশহর বি-ব্লক ও কলেজ রোডে বর্তমানে বসবাসরত হবিগঞ্জ জেলার লাদিয়া গ্রামের সুরুত আলীর মেয়ে। অপর দিকে কিশোর বর হলো হালিশহর আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র ও এলাকার আবুল কাশেমের পত্র পনির হোসেন হৃদয়।

বেআইনী ও অসময় এ বিয়ের খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধূরী। এলাকার প্রতিবাদী সচেতন জনগণকে সাথে নিয়ে তিনি ওই বিয়ে বন্ধ করে দেন।
হালিশহর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব মোর্শেদ জানান, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বর, কনে এবং তাদের পিতা, মাতা ও কাজী অফিসের সহকারি তাজুল ইসলাম, নুরুল আমীনকে আটক করে হালিশহর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবশ্য স্থানীয় জনতাও কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তারের পরামর্শে অভিভাবকের হেফাজতে ছেলে ও মেয়েসহ কাজি অফিসের সহকারীদের মুছলেখা নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযানকালে কাজী মো.খলিলুর রহমান তার অফিসে উপস্থিত ছিলেন না।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, কাজী মো.খলিলুর রহমান গোপনীয় ভাবে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়ের বিবাহ সম্পাদন করে থাকেন।