ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

লোয়ার ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি পেতে করণীয়

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে, ক্যালসিয়ামের অভাব হলে, এমনকি অনেক সময় ভারী জিনিস তোলার সময় কোমরে ব্যথা লাগে।

আবার এমনও হয়, ভারী জিনিস নয়, ঝুঁকে কিছু তোলার সময়ও কোমরের পেছন দিকে অনেক জোরে ব্যথা লাগে। এই ব্যথাটাকেই বলে লোয়ার ব্যাক পেইন।

অনেকেই আছেন যারা লোয়ার ব্যাক পেইনকে গুরুত্ব দেন না। ফলাফল হিসেবে তাকে পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে থাকতে হয়। আসুন আজ আমারা জেনে নেই লোয়ার ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়;

জবুথবু হয়ে বসে থাকবেন না: লোয়ার ব্যাক পেইনের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে ভুলভাবে বসার ধরন। জবুথবু হয়ে বসলে জয়েন্টে, মাংসপেশীতে এবং ডিস্কে চাপ পড়ে ফলে ব্যথার সৃষ্টি হয়। তাই বাহিরে বা বাসায় সোজা হয়ে বসুন।

ঠান্ডা ও গরম তাপ নিন: ঠান্ডা থেরাপি নেয়ার উপকারিতা হচ্ছে- এটা প্রদাহ কমায় এবং নার্ভ এর খিঁচুনি বন্ধ করে ব্যথা কমানোর জন্য লোকাল এনেস্থেসিয়ার মতো কাজ করে। আর গরম থেরাপি নেয়ার উপকারিতা হচ্ছে, এটা রক্তের প্রবাহকে উদ্দীপিত করে যা দেহের পশ্চাৎদেশে ব্যথা উপশমকারী উপাদানগুলোকে নিয়ে আসে এবং ব্যথার ম্যাসেজ মস্তিষ্কে পৌঁছতে বাঁধা দেয়।

এন্ডোরফিনের নিঃসরণ বাড়ান: এন্ডোরফিন একপ্রকার হরমোন যা ব্যথা কমাতে সক্ষম। এন্ডোরফিন ব্যথার অনুভূতি মস্তিষ্কে প্রেরণ করতে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়া এন্ডোরফিন দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ও হতাশা উপশম করে যা ক্রনিক ব্যাক পেইনের সাথে সম্পর্কিত। এই এন্ডরফিনের নিঃসরণ বাড়াতে অ্যারোবিক এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন করুন।

পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন: ব্যাক পেইনের রোগীদের দুই-তৃতীয়াংশেরই ঘুমের সমস্যা দেখা যায়। যারা ইনসমনিয়াতে ভোগেন তাদের পিঠের ব্যথাও মাত্রাতিরিক্ত হতে দেখা যায়। শুধু ব্যথার চিকিৎসা করে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া যাবে না। যদি ঘুমের সমস্যা থাকে তাহলে আগে তার চিকিৎসা করতে হবে।

সতর্কতা:
> হাই হিল, স্টিলেটু, পেনসিল হিল একেবারই পরা যাবে না।
> হিল পরতে চাইলে ওজি (OG) হিল পরুন।
> ভালো হয় হিলের বদলে আরামদায়ক স্যান্ডেল পরুন।
> ভারী জিনিস বহন করা বা উঠানো বন্ধ করুন।
> ঝুঁকে নিচ থেকে কোনো কিছু ওঠানো যাবে না। (সেটা যতই হালকা হোক)
> বিজ্ঞাপন দেখে বিভিন্ন দামি যন্ত্র ব্যবহার করে রাতারাতি ভালো হয়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দিন।
> অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
> যে কোনো ধরনের নেশা দ্রব্য ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন।
> অবহেলা করলে এই রোগ খুবই মারাত্মক পর্যায়ে চলে যেতে পারে।
> সার্জারি ও ইনজেকশনের প্রয়োজন পরলে হতাশ হবেন না। কারণ, বেশিরভাগ লোয়ার ব্যাক পেইন খুব অল্প সময় স্থায়ী হয়। ব্যায়াম ও বসার সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে সুস্থ থাকা যায়।
> ট্রেইনারের আন্ডারে থেকে ইয়োগা অথবা প্রয়োজনীয় ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করুন।

যদি লোয়ার ব্যাক পেইন ১ থেকে ২ সপ্তাহ থাকে এবং আপনার পায়ে দুর্বলতা বা অসাড়তা অনুভব করেন অথবা দাঁড়িয়ে থাকতে বা হাঁটতে অসুবিধা হয় তাহলে ডাক্তার দেখান। এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে, আসা করে বসে থাকবেন না।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট