ঢাকায় কালো পতাকা প্রদর্শন কর্র্মসূচীতে পুলিশ অমানবিক হিংস্র পশুর মত
আক্রমণ চালিয়েছে।
পুলিশ মিছিলে বাঁধা দিয়ে প্রমাণ করেছে, পুরো দেশটাই এখন পুলিশী রাষ্ট্র। সারা বাংলাদেশটাকে এখন কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে মনুষ্যত্বহীন নৃ:শংস আচরণের মাধ্যমে গ্রেফতার করেছে। বর্তমান সরকার পুলিশের উপর ভর করেই এখন ক্ষমতায় ঠিকে আছে। তিনি আজ ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে ঢাকায় কালো পতাকা মিছিলে পুলিশী হামলার প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এতে তিনি আরো বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা দিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী বেপরোয়া সন্ত্রাসীদের মত আচরণ করেছে।
সরকার পুলিশকে যে পরিমাণ ক্ষমতা দিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে পুলিশের হাতেই গণতন্ত্র’র মৃত্যু
পরোয়ানা। তারা অবেধ সরকারের চাহিদা মিটাতে জনগনকে পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ
করতে চায়।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার দাবী করা হয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু সরকার নির্বাচনকে ভয় পায় বলে সেনাবাহিনী মোতায়েন হউক তা চায় না। বাংলাদেশের বিভিন্ন দুর্যোগ মুহূর্তে সেনাবাহিনী
গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাই আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকার বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতেই এই মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। যাদের নির্দেশে দুদক এই মামলা করেছে একদিন বাংলাদেশে তাদের বিচার করা হবে। বাংলাদেশের জনগণ বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি কারাগার থেকে মুক্ত
করে হারানো গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার করবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে। গণতন্ত্রের মা আজ কারাগারে বন্দি।
বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় প্রহসনের যে সাজা দিয়েছে তার বিচার একদিন বাংলাদেশের জনগণ করবে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে দেশে গণ বিস্ফোরণ ঘটবে।
তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করসহ নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারী মহলের চক্রান্তে বেগম জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পেতে দেরী হচ্ছে। সরকার জনগণের
রায়কে ভয় পায় বলে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এক দলীয় নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। সরকার চায় বেগম জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত হউক। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি নেতাকর্র্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না। অবিলম্বে বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিলে সারাদেশে জনগণ রাজপথে নেমে আসবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলমের
পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মিয়া ভোলা, হাজী মো. আলী, সৈয়দ
আহমদ, নিয়াজ মো. খান, মো. ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মনজুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু,
মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সামশুল হক, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ শিহাব উদ্দিন আলম,
সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক
শিহাব উদ্দিন মবিন, নগর মহিলা দল সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, সহসম্পাদক মো. সালাহউদ্দিন, জি এম আইয়ুব খান, জহির আহমদ, সম্পাদকবৃন্দ রাহেলা জামান, হামিদ হোসেন, ডা. এস এম সরোয়ার আলম, অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, মশিউর আলম স্বপন, থানা সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মো. সেকান্দর মিয়া, সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, খোরশেদ আলম কুতুবী, অধ্যাপক রনজিত বড়ুয়া, আজাদ বাঙালী, আবু মুসা, সফিক আহমেদ, নকীব উদ্দিন ভূঁয়া, আবদুল
মতিন, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, আলী আজম, থানার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহিন, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নগর যুবদল সহসভাপতি মো. মহসিন, ছাইফুর রহমান শপথ, নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ভুলু, নগর মহিলা দল সাধারণ সম্পাদিকা জেলী চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুউদ্দিন সালাম মিঠু, নগর ছাত্রদল সহসভাপতি ফজলুল হক সুমন, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, শেখ রাসেল, ২০ দলীয় জোট নেতা ওসমান গণি সিকদার, আবদুশ শুক্কুর, মজিবুর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, নবাব খান, কাজীসামশুল আলম, মনজুর আলম মঞ্জু,