
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
সীতাকুণ্ডে শিমু আক্তার নামে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে জিয়াউল হাসান জেবল (৩০), মোঃ হাছান (৩১) নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানা তাদের আটক করেছে।
আটক জিয়াউল হাসান জেবল মৃত জাফর আহাম্মদ ড্রাইভার এবং মোঃ হাসান মৃত মছিউর রহমানের পুত্র। দুইজনের বাড়ী উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুলের এলাকায়।
ধর্ষিতা নারী অভিযোগে জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় শিমুর স্বামী বিকাশের টাকা তোলার জন্য বাড়ীর পাশ্ববর্তী মোবাইল দোকানে গেলে কিছুক্ষন পর জেবল ঘরে প্রবেশ করে বলে যে, তোমার স্বামী মোবাইল দোকানে তোমাকে যেতে বলেছে, একথা বলার পর শিমু ঘর থেকে বের হলে ৪ যুবক মুখ চেপে ধরে পাশ্ববর্তী অন্ধকার জমিতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
এসময় চিৎকার ও কান্নাকাটি করতে চাইলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এসময় কয়েকজনে মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। কান্না কাটি কললে তারা বলে আওয়াজ করলে ভিডিওগুলো সব জায়গায় ছড়িয়ে দেবো।আরো বলে যে, আজকের পর থেকে আমরা যখনি ফোন করবো তখনি কাউকে কিছু না বলে চলে আসবে।
ঘটনার পর থেকে আসামীরা মোবাইল ফোনে ঘটনা কাউকে না বলার জন্য এবং থানায় কোন মামলা না করতে হুমকি দিয়ে আসছে ।
ধর্ষিতা শিমুর স্বামী মোবাশের বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীরা আমাকে ভয়-ভীতি দেখালোও আমি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন এবং মহিলা মেম্বার জোবায়দাকে জানাই, তারা আমাকে আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ্য দেন।
আমি কোর্টে গিয়েও মামলা করতে না পেরে ফিরে আসি।
এদিকে ধর্ষিতা শিমু বাদী হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারী সীতাকুণ্ড থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করলে পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে দুই আসামীকে আটক করে।
এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইফতেখার হাসান বলেন, ধর্ষিতার অভিযোগের প্রক্ষিতে দুই আসামীকে আটক করা হয়েছে।