ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সরকার বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও ভয় পায়-সুফিয়ান

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ ১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন দোকান এবং সাধারণ মানুষের মাঝে বিএনপির বক্তব্য সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় সাধারণ জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে সাড়া দেয়।

লিফলেট বিতরণকালে নেতৃবৃন্দের সাথে সাধারণ মানুষ একাত্মতা ঘোষণা করে বেগম জিয়ার প্রতি অবিচারের প্রতিবাদ জানায়। এসময় সাধারণ মানুষ নেতৃবৃন্দের সাথে যোগ দিলে তখন জনসমাবেশে পরিণত হয়।

.

এ সময় জনতার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, সরকার অন্যায়ভাবে বেগম জিয়াকে সাজা দিলেও বিএনপি এখন যে কোন সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্রঘোষিত প্রত্যেক কর্মসূচি চট্টগ্রামে আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছি। কিন্তু সরকার বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও ভয় পায়। তাই তারা সভাসমাবেশ করতে বাঁধা দিয়ে বিএনপিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই বিএনপির অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করসহ নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান।

সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে আদালতকে ব্যবহার করে বেগম জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার সাংগঠনিক ক্ষমতা আওয়ামি লীগের নেই বলেই তাকে কারাগরে পাঠিয়ে ক্ষমতাসিনরা দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিয়েছে। বেগম জিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি। সারাজীবন দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছে, তার বিরুদ্ধে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে, তিনি আগেও কারাবরণ করেছেন। কোন শৃংঙ্খল তাকে বন্দি করে রাখতে পারেনি। এই ফ্যাসিষ্ট সরকারও তাকে বন্দি করে রাখতে পারবে না।

লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়ির যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, হকার্স বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাতেন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহ প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম কুতুবী, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক আজাদ বাঙালী, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসা, সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নকীব উদ্দিন ভূঁইয়া, সহ ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, সহ গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন লাতু, সদস্য মনজুর কাদের মিন্টু, আলমগীর আলী, নগর যুবদল নেতা ছাইফুর রহমান শপথ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উল্লাহ রাসেদ, হাজী মো. ইদ্রিস, মো. জসিম মিয়া, নগর যুব দল নেতা হাসান আল মামুন, মো. এরশাদ হোসেন, মো. সেলিম, তানভির মল্লিক, বজল আহমদ, মো. নওশাদ, মো. ইদ্রিস আলম, দিদারুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম সাজু, জসিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, মাহবুব আলম, মো. রাজন খান, মো. মিজান, মো.ইউসুফ, মো. আমির হোসেন, মো. এমরান হোসেন, মো. বেলাল, মো. সাজ্জাদ হোসেন মো. আকরাম হোসেন, মো. মঈন, মো. ডালিম, মো শিপন, দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রদল নেতা সৈয়দ সাফওয়্না আলী, ইমরান হোসেন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায়।

এর প্রতিবাদে বিএনপি  চার দফায় বিক্ষোভ, মানববন্ধন, অবস্থান, গণঅনশন, গণস্বাক্ষরতা অভিযান, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশের মত কর্মসূচি পালন করে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভার অনুমতি চাইলেও পুলিশ তা না দেওয়ায় ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি পালন করে দলটি।

দুই পৃষ্ঠার লিফলেটের শিরোনাম হচ্ছে : শেখ হাসিনার ১৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার/খারিজ বনাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিত্তিহীন মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড।’ এই লিফলেটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যমূলক, কাল্পনিক ও সাজানো’  মামলায় কারাদণ্ড প্রদান এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলার মধ্যে ৬টি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার ও অন্য ৯টি মামলা হাইকোর্ট কর্তৃক খারিজের পটভূমি তুলে ধরা হয়েছে।  এ ৯টি দুর্নীতি মামলায় সর্বমোর্ট অর্থের পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকা।

লিফলেটের একেবারে শেষ প্রান্তে বলা হয়, এক টাকাও দুর্নীতি না করে বেগম খালেদা জিয়াকে যদি  জেলে যেতে হয়, তবে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও অন্যান্যদের কি শাস্তি হওয়া উচিৎ তা ভবিষ্যতে জনগণের আদালতেই নির্ধারিত হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print