
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে গিয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে লাঞ্চিত হলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী।
আজ ১৭ মার্চ সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটায় কলেজ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
এই ঘটনার জের ধরে বিকালে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ৎকরে ঘটনার বিচার দাবী করেন লাঞ্চিত আওয়ামী লীগের এ নেত্রী । অন্যতায় তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণাও দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সরকারী কলেজ প্রশাসনের দাওয়াতে শনিবার সকালে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী কলেজ অনুষ্ঠানে যান। এসময় বক্তব্যে তাঁর (নাজনীন) নাম ঘোষনা করলে কলেজ সাধারন সম্পাদক শাখায়াত হোসেন হট্টগোল শুরু করে নাজনীন সরওয়ারকে মারতে তেড়ে আসেন।
এসময় উৎশৃঙ্খল ছাত্রলীগ নেতারা নাজনীন সরওয়ার কাবেরীর বিরুদ্ধে কু-রুচিপূর্ণ শ্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং তাকে শারীরিক হেনেস্তা করে ছাত্রলীগ নেতারা। পরে কাবেরী বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন ।

নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বলেন, আমি মঞ্চে ওঠার সময় চেয়ার হাতে নিয়ে মারতে আসেন কলেজ সভাপতি জাকের হোসেন ও সাধারন সম্পাদক শাখায়াত হোসেনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী।
এসময় তারা হুমকি দিয়ে বলেন, আমাকে কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলবে। ছাত্রলীগ নামে এরা সন্ত্রাসী। এদের নেতৃত্বে কলেজের জমি দখল হয়। আমি তার প্রতিবাদ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালিগালাজ ও মারতে তেড়ে আসে।আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এদিনে তারা কলেজে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা দু:খজনক। তাদের হাতে শিক্ষকও জিম্মি।
এ ঘটনার জের ধরে আওয়ামী লীগ নেত্রী কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং ছাত্রলীগের নামের নৈরাজ্য সৃষ্টি করা দমন করা না গেলে, এবং ঘটনার কোন প্রতিকার না পেলে তিলি দল ত্যাগের ঘোষণা দেন এবং প্রয়োজনের মাদার তেরেসা হওয়ার কথাও বলেন সাংবাদিকেদের।
এ ব্যাপারে কলেজ সভাপতি জাকের হোসেন বলেন, ওনাকে (নাজনীন) অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া হয়নি। ওনি সাবেক নেতাদের পক্ষ নিয়ে অনুষ্ঠানে এসে আমাদের বিরুদ্ধে কথাবার্তায় বলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় আমাদের হাত নেই। আমাদের এন্ট্রিরা ষড়যন্ত্র করে ওনাকে নাজেহাল করলে এটার দায়ভার আমাদের নই।
কক্সবাজার সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিমর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি। এ ব্যাপারে পরে কথা বলবো।