
চট্টগ্রামে ব্যাপকহারে বেড়েছে জাটকা নিধন। নগরীর ফিশারিঘাটে দেদার চলছে জাটকা বেচাকেনা। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মাঝেও থেমে নেই জাটকা নিধন ও বিক্রি। অভিযোগ উঠেছে প্রতিদিন রাতের আঁধারে ও ভোরে ঝাঁকে ঝাঁকে জাটকা ইলিশ বিকিকিনি হয় চর চাক্তাই এলাকায় স্থাপিত নতুন মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে।

রবিবার সকালে সরেজমিনে বাজারে গিয়ে জাটকা ইলিশ ধরা পড়ে ক্যামেরায়। জাটকা ইলিশ বিকিকিনির বিষয়টি অস্বিকার করে সোনালি যান্ত্রিক মৎস্য সমবায় সমিতির নেতারা। এমনিতেই ব্যবসায়িক দ্বন্ধ, ইয়াবার চালান ও চাঁদাবাজিসহ নানান জটিলতায় ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে চর চাক্তাই মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিধন হয়েছে অথচ জব্দ করা যায়নি, এমন জাটকার পরিমাণ হবে আরও অনেক বেশি।

নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারে মাছের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক দোকানে বিভিন্ন আকৃতির ইলিশের পাশাপাশি সযত্নে সাজিয়ে রাখা হয়েছে কয়েকটি করে জাটকাও। দরদাম বনিবনা হলে ভেতর থেকে এনে দেওয়া হচ্ছে জাটকা। প্রতি কেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। অনেক দোকানে দেখা গেছে, পেটে ডিমভর্তি মা মাছও।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবিএম মহসিন বলেন, বাজারে ইলিশের জোগান দিতে নির্বিচারে জাটকা নিধন করা হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে। এ ছাড়া জাটকা নিধন বন্ধ করা গেলে এসবই অল্প কিছুদিন পর বড় সাইজের সুস্বাদু ইলিশে পরিণত হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’ লম্বায় ২৫ সেন্টিমিটারের কম এবং ওজনে ২৫০ গ্রামের কম হয়ে থাকলে সেটাকে জাটকা হিসেবে ধরে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।