চট্টগ্রাম বন্দরের ভিতরে কাস্টম হাউস পরিচালিত চারটি কনটেইনার স্ক্যানার ও ১০টি রেডিয়েশন ডিটেকশন ইক্যুইপমেন্ট মেশিনের স্ক্যানার নিয়োগে অভিজ্ঞ জনবল বাদ দিয়ে পক্ষপাতমূলক টেন্ডারের মাধ্যমে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের জনবল নিয়োগ অভিযোগ করেছে কর্মরত অপারেটর ও কর্মীরা।
কর্মরত অপারেটরদের চাকরি নিয়মক করা হলে ৬০জন অপারেটর একযোগে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ হুমকি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিস্টেম অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, দীর্ঘ নয় বছর ধরে মেশিনগুলোতে এসজিএসের পক্ষে আমরা কর্মরত আছি। কাস্টম কর্তৃপক্ষ নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী অপারেটর নিয়োগ করতে যাচ্ছে। যাতে বর্তমান অভিজ্ঞ জনবলকে নিয়োগের বাধ্যবাধকতা নেই। কাস্টমস একটি পক্ষপাতমূলক টেন্ডারের মাধ্যমে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে যেখানে প্রচুর অসংগতি রয়েছে।
কর্মরত অপারেটররা বলেন, কাস্টম হাউসে চট্টগ্রামের কিছু স্বার্থান্বেষীমহল কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে নিয়োগ দিচ্ছে যাতে অসাধু ব্যক্তির স্বার্থ হাসিল হবে আর সরকারের গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। আমরা ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেছি। যা বিচারাধীন রয়েছে।
তারা আরও বলেন, আমরা যে বিষয়ে উদ্বিগ্ন তা হলো রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয়ে আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করার পর আমাদের বাদ দিয়ে নতুন অনভিজ্ঞ লোকবল দিয়ে স্ক্যানিং মেশিনের মতো স্পর্শকাতর মেশিনগুলো পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমাদের চাকরিচ্যুত করার দুরভিসন্ধি কাজ করছে।
এসময় তারা কাস্টমসের তত্ত্বাবধানে স্ক্যানার আমদানি পণ্য ও কনটেইনার স্ক্যানিং ও রেডিয়েশন পরীক্ষায় দক্ষতা অর্জনকারী কর্মীদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটানোর অনিশ্চয়তা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী মিল্টন, বদরুল আহমদ সিদ্দিকী, সালাউদ্দিন আহমদ, জাহেদুল আলম, কাদের সোবহান, সোহেল রানা, আনোয়ার হোসেন, সুবীর মিত্র, অলীক দেওয়ান প্রমুখ।
