
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ বুধবার প্রথমদিন জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
সকালে নগরীর লালখানবাজার মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড়ে ঝুকিঁপূর্ণভাবে বসবাসবারী বেশ কিছু পরিবারের ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। বিচ্ছেদ করা হয়েছে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ। এসময় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল উচ্ছেদে বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
জানাগেছে, এসব পরিবরিকে ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ী এলাকা থেকে সরে যেতে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
জেলা প্রশাসনের এডিসি (রেভিনিউ) দেলোয়োর হোসেন অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
এ অভিযানে নগর পুলিশ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে নগরীর পাহাড়গুলোতে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের উচ্ছেদে ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার কর্তৃক গঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের নির্দেশনা অনুসারে মহানগরীসহ চট্টগ্রামের সকল উপজেলায় পাহাড়ের ওপর ও পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ-ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করেছে। আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সরে না গেলে তাদের চুড়ান্ত।ভাবে উচ্ছেদ করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৪ এপ্রিল পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসরতদের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর কর্তৃপক্ষকে পত্র পাঠানো হয়েছে।